এছাড়াও বিহারের মুংগের থেকে অর্ডার আসত তাঁর কাছে। মোটা টাকার বিনিময়ে চাহিদা মতো কার্তুজ এনে দিতেন মধুসূদন। তাঁকেই এবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মধুসূদনের এই অস্ত্র ব্যবসার পিছনে কোন রাঘব বোয়ালের হাত আছে তারই খোঁজ শুরু করেছে ব্যারাকপুর গোয়েন্দা বিভাগ।
আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা ভোটের জন্যই কি খড়দহের এই অস্ত্র ভান্ডার মজুত করেছিলেন মধুসূদন?
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্কুল থেকে ফেরার পথে খড়দহে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রী! চরম উৎকন্ঠায় পরিবার
খড়দহে মধুসূদনের অস্ত্র ভান্ডার কি আগামী বিধানসভা ভোটের জন্যই মজুত হচ্ছিল? এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। পুলিশের জেরায় মধুসূদন মুখার্জি জানিয়েছে, এই অস্ত্র ব্যবসা তাঁর অনেকদিনের। ছাব্বিশের ভোটের পর এই অস্ত্র ব্যবসা ছেড়ে দেবেন ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ পুলিশের জালে এইভাবে জড়িয়ে যাবেন তা ভেবে উঠতে পারেননি।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক তদন্তকারী অফিসারের ধারনা, আসন্ন ভোটের জন্যই বিহারের মুংগের থেকে এই অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল। এর জন্য কেউ তাঁকে মোটা টাকার বরাত দিতে পারে বলেও পুলিশের অনুমান। তবে কে এই বরাত দিয়েছিল মধুসূদনকে? তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ রাস্তায় সাক্ষাৎ ‘যমরাজ’! প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুর হাতছানি, এড়িয়ে চলুন শহরের এই রাস্তা
মধুসূদন মুখার্জির ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে পাঠাচ্ছে রহড়া থানার পুলিশ। মধুসূদনের বিরুদ্ধে রহড়া থানার পুলিশ এবং ব্যারাকপুর ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখা এবং তা বিক্রি করার দায়ে অস্ত্র আইনে মামলা রজু করেছে।