আর তল্লাশি হতেই মেলে বিস্ময়কর চিত্র — ব্যাগভর্তি বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি! এক এক করে বেরিয়ে আসে বাজির প্যাকেট, আতসবাজি ও অন্যান্য বিস্ফোরক উপকরণ। পুলিশের হিসাবে, অন্তত ১০০ প্যাকেটেরও বেশি শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে ওই ব্যাগ থেকে।
ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন? সবচেয়ে ‘সস্তায়’ কী ভাবে MBBS হবেন? দেশে না বিদেশে? জানুন ‘সহজ’ উপায়!
advertisement
খড়্গপুর জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের বাড়ি খড়্গপুরেই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সে হাওড়া থেকে পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে চেপে খড়্গপুরে ফিরছিল। বাজিগুলি কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে এবং কাদের কাছে সরবরাহের উদ্দেশ্য ছিল, তা নিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ডিএসপি নবেন্দু দে এবং খড়্গপুর জিআরপি-র আইসি। উদ্ধার হওয়া বাজিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই বাজিগুলির মধ্যে অধিকাংশই এমন শ্রেণির, যা উচ্চ শব্দসীমা অতিক্রম করে এবং পরিবেশ দূষণের জন্য নিষিদ্ধ।
উৎসবের মরশুম ঘনিয়ে আসতেই পুলিশ প্রশাসন রাজ্যজুড়ে বাজি-বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও প্রশাসন একাধিকবার সতর্ক করেছে, নির্দিষ্ট মানমাত্রার বাইরে শব্দবাজি বিক্রি বা মজুত করা আইনত অপরাধ। তবু চোরাপথে বাজি পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন শহর ও মফস্বলে। সেই চক্রের সঙ্গেই যুক্ত কি না ওই যুবক—সেই প্রশ্নের উত্তর এখন খুঁজছে পুলিশ।
ডিএসপি নবেন্দু দে বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছি। নিষিদ্ধ শব্দবাজি কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, কারা এর পেছনে আছে, সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে।”
রেল পুলিশ সূত্রে আরও খবর, অভিযুক্তকে রবিবার খড়্গপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। আদালতে পেশ করার আগে পর্যন্ত তাকে জিআরপি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানান, উৎসবের সময় এমন বাজি মজুত ও পাচার নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। “আমাদের এখানে প্রায়ই ট্রেনে বাজি আসে, তারপর তা শহরের ভেতরে ছড়িয়ে যায়,”—বলেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
পুলিশের মতে, এই ধরণের চোরাচালান রুখতে রেল স্টেশন ও ট্রেনের মধ্যে নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে। উৎসবের মৌসুমে বাজি ব্যবসায়ীদের উপরও বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।