জলাশয় এবং চুনো মাছ বাঁচানোকে লক্ষ্য নিয়ে এই উৎসবের পথ চলা শুরু হয়েছিল। এখন এই উৎসব পালন করে আসছে খাল বিল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
রাজ্যের প্রাণি সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এই মেলার পৃষ্ঠপোষক। তিনি জানান, খাল-বিল উৎসব উপলক্ষে বাঁশদহ বিলে মাঝামাঝি এবং দু পাড়ে এবার বেশ কয়েকটি মঞ্চ করা হচ্ছে। সেখানে সানাই থেকে শুরু করে পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি সহ লোকসংগীত পরিবেশিত হবে। উৎসবের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী। খাল বিল থেকে তুলে আনার শাপলা শালুক ফুল দিয়ে অতিথি বরণ করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- সাবধান! গ্যাসের ভর্তুকির টাকা দেওয়ার এমন ফোনেই বাড়ছে বিপদ
এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ নানা স্বাদের পিঠে। পাটিসাপটা থেকে শুরু করে সরু চাকলি সবই তৈরি হবে এই মেলার মাঠেই। গরম গরম পিঠের স্বাদ নিতে পারেন দর্শনার্থীরা।শুধু তাই নয়, থাকছে খেজুর গুড়ে রসনা পরিতৃপ্ত করার ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে মেলায় আসা অতিথি অভ্যাগতদের রকমারি চুনো মাছের পদ দিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজ খাওয়ানো হয়।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, এই বাঁশদহ বিল লম্বায় প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। এটিকে ঘিরে একটি ইকোটুরিজম পার্ক তৈরির ভাবনা রয়েছে। বিধায়ক এবং সরকারি অন্য তহবিলের অর্থে পর্যটকদের জন্য আবাস তৈরি করা হচ্ছে।
এবার উৎসবের জন্য বিলের পারে সেলফি পয়েন্ট তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, বাঁশদহ বিলকে ঘিরে কর্মসংস্থানেরও চেষ্টা হচ্ছে। কাছাকাছি বিদ্যানগর এলাকায় একটি চুনো মাছ সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে এবার বিলের পারে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ পালিত হবে।
আরও পড়ুন- Murshidabad News: মনপসন্দ সোনার গয়না না দিতে পারায় বধূকে 'খুন'! ফরাক্কায় ভয়াবহ ঘটনা
সব মিলিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও প্রচুর দর্শনার্থীর ঢল নামবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। খুব সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা খেজুর রসের লোভে ভিড় করা শুরু করেন। এরপর চলে পিঠে খাওয়ার পর্ব। দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজে ভাতের সঙ্গে থাকে বেশ কয়েক রকমের চুনো মাছের নানা পদ। সেই সঙ্গে থাকে মেলা ঘুরে দেখার আনন্দ।