আর তার পরেই সোমবার স্কুলের সময় গ্রামের বেশ কিছু লোকজন ও অভিভাবক প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্কুলে বিক্ষোভ করেন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে রাখেন। তাদের অভিযোগ, স্কুলের ভেতরে জ্যান্ত পাঁঠা কাটা হয়েছে এবং মদ মাংস খাওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে বেশ কিছুক্ষণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে রাখেন, অবশেষে প্রধান শিক্ষক মুচলেকা দেওয়ার পরেই স্কুল থেকে বেরতে পেরেছেন বলেই জানা যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন : পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার স্কুলের প্রধানশিক্ষক
আগামী বুধবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ এবং গ্রামবাসীদের নিয়ে মিটিং করার পরেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ওই স্কুলে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন মিশ্র জানান, স্কুল ছুটির পরে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য এবং স্কুল খোলার পরে ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। কিন্তু যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। মাংস কেনা হয়েছে বাইরে থেকেই, স্কুলে কোনও পাঁঠা কাটা হয়নি এবং মদ খাওয়ার মতন কোনও ঘটনা ঘটেনি ।
আরও পড়ুন : আগেই ঘরছাড়া মা, এ বার তিন নাবালক সন্তানকে তাড়িয়ে দিল বাবা
আরও পড়ুন : নীরব প্রেমের মুখর সেতু ইনস্টাগ্রাম, ফলোয়ারদের উদ্যোগে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন মূক জুটি
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, এবং তাকে চাপ দিয়ে মুচলেকা লেখানো হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিশুইযের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে তিনি এই অভিযোগ শুনেছেন। ইতিমধ্যে খোঁজখবর নিচ্ছেন সেখানে যদি কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হয় তাহলে সরকারিভাবে যা আইন রয়েছে সেই আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।
( প্রতিবেদন : পার্থ মুখোপাধ্যায়)