মুর্শিদাবাদ জেলার বৃহত্তম চারচালা মন্দির বলে অনেকে মনে করেন এই কালী মন্দিরকে। প্রায় ৪০ ফুট উঁচু এই মন্দিরে প্রবেশ পথের সামনের দিকে পোড়ামাটি ও চুন-বালির দুটি উপাদানের অলংকরণ রয়েছে। পৌরাণিক দেবদেবী, দশাবতার, লঙ্কাযুদ্ধ ও ফুল,বাড়ি, নকশা আছে। এখান থেকে একটু দক্ষিণে ঘাটবন্দরের আগে রয়েছে প্রাসাদোপম বাড়ি সৈদাবাদ হাউস। ভেতরে যেতে না পারলেও অতীত সৈদাবাদের বড় ইমারত সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।
advertisement
ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথি কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিত। পুরাণ অনুসারে এদিন দেবী শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন। শাক্ত মতে যাঁরা দেবীর পুজো করেন, তাঁদের জন্য কৌশিকী অমাবস্যার রাত অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ। তারাপীঠে এদিন মা তারার বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সাধক ব্যামাক্ষ্যাপাও কৌশিকী অমাবস্যাতেই সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তাই কৌশিকি অমাবস্যাতে ঘুরে আসুন এই মন্দিরে।হবে আপনার মনস্কামনা।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণেন্দু হোতা বাংলা বিহার ওড়িষার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির নায়েব ছিলেন। যদিও তিনি সাধক ছিলেন। আর তিনি এই মন্দির সহ মা-এর মুর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। দক্ষিণমুখী এই মন্দিরটি একটি জোড়বাংলা মন্দির যার উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। মন্দিরের থামে, খিলানে ও সামনের দেওয়ালে পোড়ামাটির অলংকরণ রয়েছে। বারবার সংস্কার হওয়ার ফলে এগুলির প্রাচীনত্ব নষ্ট হয়েছে। এই মন্দির চত্বরের মধ্যে পুব মুখে ছয়টি, পশ্চিম মুখে ছয়টি ও উত্তর মুখে একটি-সহ মোট ১৩টি শিব মন্দির রয়েছে। দয়াময়ীর পশ্চিম দিকে এক চূড়াবিশিষ্ট সুদৃশ্য কতগুলি মন্দির আছে। এইসব মন্দিরে আলাদা কক্ষে রাম-সীতা, রাধাকৃষ্ণ, অন্নপূর্ণা, অর্ধনারীশ্বর পূজিত হচ্ছেন। দয়াময়ী মন্দিরের সামনে দালান মন্দিরে গ্রহরাজ পূজিত হচ্ছেন। দয়াময়ী মন্দির ও ১৩টি শিব মন্দিরে বর্তমানে সংস্কারের কাজ চলছে। এই মন্দির থেকে কাছে বিষ্ণুপুর বিলের ওপর কৃষ্ণেন্দ্র হোতা একটি পাথরের সেতু নির্মাণ করেন যেটি হোতার সাঁকো পরিচিত। ফলে কালীপুজোর শুধু নয় কৌশিকি অমাবস্যার আগেও সেজে উঠছে এই মন্দির ।
Kaushik Adhikary