দোতলা লাল ইঁটের বাড়ি এখন নেতাজি আশ্রম নামেই পরিচিত। বাড়ির নিচে রয়েছে ফরোয়ার্ড ব্লকের কাটোয়া লোকাল কমিটির বন্ধ কার্যালয়। লাল ইঁটের জরাজীর্ণ বাড়ি আজও নেতাজীর স্মৃতি বহন করে চলেছে। ১৯৩১ সালের ডিসেম্বর মাসে এই আশ্রমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস তিন দিন, তিন রাত্রি ছিলেন। তখনকার দিনে স্বাধীনতা সংগ্রামী গুণেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় , শ্যামরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে নেতাজির আলোচনা, কথপোকথন হত।
advertisement
আরও পড়ুন : কোর্টরুমে বিচারক ‘গার্লিক’কে গুলি, পরমুহূর্তে মুখে নেন সায়নাইড! কানাইলালের নাম আজও উজ্জ্বল
তবে বর্তমানে এই নেতাজি আশ্রমের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আগাছায় ঢেকেছে গোটা বাড়ি। এই বিষয়ে নেতাজি আশ্রম ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যা মাধবী দাস জানিয়েছেন, এটা কাটোয়ার মানুষের কাছে একটা গর্ব। সংস্কারের জন্য আমরা অনেকের কাছে সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমাদের কাছেও অর্থ নেই ওটা সংস্কার করার জন্য। কাটোয়া পৌরসভার পৌর প্রধানকে আমরা একবার জানিয়ে দেখবো, যদি সেখান থেকে করে দেওয়া হয় তাহলে ভাল হবে।
আরও পড়ুন : শুধু ছাত্রজীবন নয়, স্বাধীনতা ও সংগ্রামের সাক্ষী! ১০০ পেরিয়ে আজও অমলিন এই হোস্টেল
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের থাবা থেকে ভারতকে মুক্ত করতে নেতাজিকে অজস্র বাধা পার করতে হয়েছিল। দেশ রক্ষার স্বার্থে যেমন তিনি গিয়েছিলেন জার্মানি, রাশিয়া। ঠিক তেমনই তিনি এসেছিলেন পূর্ব বর্ধমানেও । কাটোয়া নেতাজি আশ্রম ট্রাস্টি বোর্ডের কথায়, কাটোয়ার অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী গুণেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী খুব ভাল রান্না করতেন। নেতাজি যখন কাটোয়া এসেছিলেন, তখন বারোয়ারীতলার মুখার্জি পরিবারেই খাওয়া দাওয়া করেছিলেন এবং কাঠগোলা পাড়ার বর্তমান নেতাজি আশ্রমেই ছিলেন ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নেতাজির সঙ্গে যেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তথা কাটোয়ার এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে নেতাজি আশ্রমের অবস্থা একদম বেহাল। আশ্রমের দেওয়ালে জন্মেছে আগাছা ধরেছে ফাটল। দ্রুত সংস্কার না করলে হয়ত আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হারিয়ে যাবে নেতাজির স্মৃতি জড়িত এই আশ্রম। কাটোয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সমীর কুমার সাহা জানিয়েছেন, ট্রাস্টি বোর্ডের তরফ থেকে যদি লিখিত আবেদন জানানো হয় তাহলে তাঁরা নেতাজি আশ্রম নিয়ে ভেবে দেখবেন।