জানা গিয়েছে, সুমন্ত একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন। সেই সেন্টারের এক ছাত্রের জন্মদিন উপলক্ষে কাটোয়ার বনদীঘির পুকুর পাড়ে পিকনিক চলছিল। শিক্ষক সহ মোট ৯ জন ছিলেন। পুকুরে থাকা একটি নৌকায় শিক্ষক সহ কয়েকজন ছাত্র নৌকাবিহার করার সময় নাকি নৌকা উল্টে জলে তলিয়ে যান দু’জন, বাকিরা বেঁচে ফেরেন।
আরও পড়ুনঃ আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ ডাকাতি! ছিনতাইয়ের পর…! মারাত্মক কাণ্ড রাজ্যে
advertisement
পিকনিকে উপস্থিতদের মধ্যে সায়ন মণ্ডল জানিয়েছেন, শিবম হালদারের জন্মদিন ছিল। তাই এখানে একটি ফিস্টের আয়োজন হয়। আমাদের ইংরেজির শিক্ষক সুমন্ত ঘোষাল সহ মোট ৯ জন এখানে এসেছিলাম। আমাদের স্যারই সব রান্না করেছিলেন। তবে ওই নির্মল যাই হোক আগে মদ খেয়ে এসেছে বা সঠিক জানি না নেশা হয়ে গিয়েছিল এবং ও ওই টিনের নৌকায় চেপে পড়েছিল। নির্মল নৌকায় একা ছিল বলে ঘোষালদা ওঁকে বাঁচাতে যান। কিন্তু ঘোষালদা এবং নির্মল কেউই সাঁতার কিংবা নৌকা চালাতে জানে না। এরপর ওঁদের বাঁচাতে আমরা যাই। ওঁরা নৌকা চালাতে জানে না বলে আমি নৌকা চালাচ্ছিলাম। তবে ওঁরা নেশা করে এদিক ওদিক করছিল ও নৌকায় জল ঢুকছিল। এরপরই নৌকায় জল ঢুকতে ঢুকতে উল্টে যায়। তখন ঘোষালদা আর নির্মল দু’জনেই জলে ডুবে যায়। এরপর থেকে একবারও ওঠেনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে শিবম হালদার জানিয়েছেন, ‘মোট ছয়জন মতো নৌকায় চেপেছিল। এরপর নৌকা পুকুরে ঘুরে মাঝখানে এসেছিল। তারপর হঠাৎ জলে ডুবে যায়। যারা সাঁতার জানে তাঁরা চলে এল আর যারা জানে না তাঁরা ডুবে গেল। নৌকাটা মাছ চাষের জন্য ব্যবহার করা হয়। দু’জনের বেশি চাপানো যায় না, কিন্তু ওঁরা ছয়জন চেপেছিল। ওঁরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল কিনা সেটা আমি জানি না। আমি মিষ্টি আনতে গিয়েছিলাম। এসে দেখি এই কাজ করেছে’। সবমিলিয়ে এই ঘটনার জেরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।