এই সমস্যা নিয়ে পঞ্চায়েত ও সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিকবার জানানো হলেও মেলেনি কোনও স্থায়ী সমাধান। অবশেষে, রাস্তা সংস্কারে নিজে থেকে উদ্যোগী হন জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএম সদস্য অজয় হাজরা। নিজের জমানো ভাতার টাকা থেকে একটি বড় অংশ এবং গ্রামের বাসিন্দাদের আর্থিক সহযোগিতায় ওই রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। বর্তমানে রাস্তাটি মেরামতের পর গ্রামবাসীদের যাতায়াত অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্য অজয় হাজরা বলেন, গ্রামবাসীদের প্রতি আমারও একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। রাস্তাটা সংস্কার করতে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, গ্রামবাসীরা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়েছেন আর বাকিটা আমি দিয়েছি। মাসে ৩ হাজার টাকা করে ভাতা পাই, ওই জমানো টাকা থেকেই আমি দিয়েছি।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রশাসনের বড় উদ্যোগে এবার ‘চিন্তা শেষ’! তেল উৎপাদন করেই স্বনির্ভর হবে এলাকা
গ্রামবাসীদের মতে, পঞ্চায়েত সদস্য অজয় হাজরার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সরকারি সাহায্য ছাড়াই সাধারণ মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় কোনও একটি সমস্যার বাস্তব সমাধান যে সম্ভব, তা আবারও প্রমাণ হল এই কাজের মাধ্যমে। গ্রামবাসী টগরি নন্দি বলেন, আমাদের খুবই সমস্যা হত। তবে এটা কিছুটা সংস্কার হয়ে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও এই বিষয়ে কাটোয়া ২ পঞ্চায়েতে সমিতির পূর্তের কর্মাধ্যক্ষ গৌতম ঘোষাল জানিয়েছেন, ওই রাস্তাটার যে প্রয়োজন রয়েছে, সেটা আমাদের আগে বলা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে প্রচার পাওয়ার জন্য এটা করা হয়েছে। আমাদের জগদানন্দপুর এলাকার প্রতিটি রাস্তাঘাট ভাল। আমরা চেষ্টা করব, ‘আমার পাড়া আমার সমাধান’ প্রকল্পে ওই রাস্তাটা যাতে করে দেওয়া যায়। গ্রামবাসীরা আশা করে রয়েছেন, হয়ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই রাস্তা ভবিষ্যতে ঢালাই করে দেওয়া হবে। কিন্তু এখন দেখার বিষয় কতদিনে তা বাস্তবে পরিণত হয়।