TRENDING:

Michael Madhusudan Dutt: প‍ঞ্চকোট রাজার অতিথি হয়ে পলাশের দেশে এসেছিলেন মধুকবি, সেই ইতিহাসের স্মারক তাঁর নামাঙ্কিত কলেজ

Last Updated:

Michael Madhusudan Dutt: সেই সময় পঞ্চকোট রাজবংশের রাজা নীলমণি সিং দেও মধুসূদন দত্তকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁর রাজবাড়িতে। রাজার আমন্ত্রণে পালকিতে চড়ে রাজভবনে প্রবেশ করেছিলেন মহাকবি মাইকেল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পুরুলিয়া, শান্তনু দাস: মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত পুরুলিয়া জেলার “কাশীপুর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়।” মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামাঙ্কিত এই কলেজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক গভীর ইতিহাস। যে ইতিহাস আজ ঐতিহ্যের সঙ্গে বহন করে চলেছে সমস্ত কাশীপুর তথা পুরুলিয়া জেলাবাসী। জানা যায়, ১৮৭২ সালের মার্চ মাসে জীবনের শেষ পর্যায়ে মাইকেল মধুসূদন দত্ত একটি আইন সংক্রান্ত কাজে পুরুলিয়া এসেছিলেন। সেই সময় পঞ্চকোট রাজবংশের রাজা নীলমণি সিং দেও মধুসূদন দত্তকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁর রাজবাড়িতে। রাজার আমন্ত্রণে পালকিতে চড়ে রাজভবনে প্রবেশ করেছিলেন মহাকবি মাইকেল। রাজবাড়িতে আইন উপদেষ্টা হিসেবে প্রায় ছ’মাস কর্মরত ছিলেন মহাকবি।
advertisement

সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পঞ্চকোট রাজার আতিথেয়তা তাঁকে মুগ্ধ করেছিল। যদিও পরবর্তীকালে রাজবাড়ি থেকে তাঁকে চলে যেতে হয় তাকে। তারপরেই পঞ্চকোট রাজবংশের রাজধানী কাশীপুরে এই কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন কাশীপুর রাজপরিবার। কাশীপুরের মাটিতে পদধূলি পড়া মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামেই কলেজের নামকরণ হয় কাশীপুর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়।

advertisement

কাশীপুর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড: বিভাসকান্তি মণ্ডল বলেন, “মাইকেল মধুসূদন দত্তের পদধূলিতে ধন্য হয়েছিল এই পাথর-পলাশের দেশ পুরুলিয়া। তাঁরই নামাঙ্কিত এই মহাবিদ্যালয়। এখানকার জনমানুষ মাইকেলকে ভালবেসে তাঁর নামেই এই কলেজ তৈরি করে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, বেঁধে রেখেছেন স্মৃতিতে। কলেজ চত্বরে বসান হয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের আবক্ষ মূর্তি।

আরও পড়ুন : খরস্রোতা নদীতে গভীর ঘূর্ণিপাক, সপ্তাহশেষের ছোট্ট ছুটিতে দেখতে আসুন এই জাগ্রত মন্দির

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

পঁচিশ বছরেরও বেশি প্রাচীন এই কলেজ বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেকটাই উন্নত হয়েছে। উন্নত হয়েছে কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও। বর্তমানে কলেজের বিশাল ভবন নির্মিত হয়েছে। তৈরি হয়েছে একটি ছাত্রাবাস। বর্তমানে বিএ এবং বিএসসি পাঠ্যক্রমের মোট ছয়টি বিষয়ে অনার্স-সহ দশটি বিষয় এই কলেজে পড়ানো হয়। ২০০০ সালে গড়ে ওঠা এই কলেজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এমনই এক ইতিহাস। যে ইতিহাস আজ ঐতিহ্যের সঙ্গে বহন করে চলেছে সমস্ত কাশীপুরবাসী।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Michael Madhusudan Dutt: প‍ঞ্চকোট রাজার অতিথি হয়ে পলাশের দেশে এসেছিলেন মধুকবি, সেই ইতিহাসের স্মারক তাঁর নামাঙ্কিত কলেজ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল