কান্দিতে ব্রাহ্মণী, দ্বারকা, ময়ূরাক্ষী নদীর উপর বাঁধ তৈরি ও মেরামতির কাজ সম্পন্ন করেছে সেচ দফতর। ২০০০, ২০০৭ এমনকি ২০১৫ সালে বন্যায় ঘরবাড়ি, ফসল, গবাদি পশু ভেসে যাওয়ার স্মৃতি ভুলেছে কান্দি। এর আগে কান্দির বড়ঞা, ভরতপুর, সালার, হিজল, খড়গ্রাম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বর্ষাকাল মানেই ছিল অভিশাপ।
advertisement
মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার ৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েত ঘিরে ব্রাহ্মণী, ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা নদী। এছাড়াও কুয়ে, বেলে নিয়ে আরও অন্তত ১০টি শাখা নদী আছে। বর্ষায় জল বাড়লেই গ্রামের বাসিন্দাদের শোচনীয় অবস্থা হত। খেতের ফসল, গোলার ধান, গবাদি পশু, বাড়িঘর ভেসে যেত সবই। এবার অবশ্য বর্ষার চোখরাঙানিতে ভয় নেই। তবে শুধু কান্দি নয়, এই মাস্টার প্ল্যানের জন্য মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের মোট ১১টি ব্লক আজকে উপকৃত হল। বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেল বহুকৃষি জমি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকার সময় কান্দি মাস্টার প্ল্যানের জন্য প্রায় ৪৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। যদিও পরবর্তীতে কেন্দ্র দেয় ২০ শতাংশ টাকা ও রাজ্য সরকার দিয়েছে ৮০ শতাংশ টাকা। রাজ্যে সরকারের উদ্যোগে বাস্তবায়িত হয়েছে কান্দি মাস্টার প্ল্যান। কান্দিতে ময়ূরাক্ষী, ব্রাহ্মণী, দ্বারকা নদীর উপর ২৪০ কিমি বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে সেচ দফতর ৷ কান্দি মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে ৪৩ কিমি বাঁধের কাজ করা হয়েছে৷