তবে এবার সেই দিন শেষ! জেলা টোব্যাকো কন্ট্রোল দফতরের বিশেষ উদ্যোগে কালনা হাসপাতাল চত্বরে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। ধরা পড়লেই দিতে হবে ২০০ টাকা জরিমানা। হাসপাতালের চারপাশে বড় বড় পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল সতর্কবার্তা। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ধূমপান নিষিদ্ধ। কিন্তু এদিন সেই নিয়ম অমান্য করলেই পড়তে হয়েছে ফাঁদে। জেলা টোব্যাকো কন্ট্রোল দফতরের তিনজনের একটি প্রতিনিধি দল কালনা মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছে হঠাৎ চেকিং শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন হাসপাতালের সহকারী সুপার ও ক্যাম্পাসে মোতায়েন থাকা পুলিশকর্মীরাও।
advertisement
আরও পড়ুন : বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা! রেললাইনে হাতির দল, চালকদের তৎপরতায় থামল ট্রেন
অভিযানের সময় ধূমপানরত কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে জরিমানাও নেওয়া হয়। এ দৃশ্য দেখে বাকিরাও অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। তবে শুধু হাসপাতাল চত্বরেই নয়, অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের বাইরে লাগোয়া দোকানগুলিতে সহজেই মেলে তামাকজাত দ্রব্য। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যখন হাসপাতালের সন্নিকটে বিক্রি হচ্ছে তাহলে সেগুলিকেও বন্ধ করা দরকার। এই বিষয় নিয়েই পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের তর্কাতর্কিও হয় মঙ্গলবার।
আরও পড়ুন : ত্রাণের খোঁজে বেরিয়েছিলেন, হঠাৎ ডিঙি উল্টে সব শেষ! বাড়ি ফেরা হল না আর, তিনদিন পরে মিলল দেহ
জেলা টোব্যাকো কন্ট্রোল দফতরের আধিকারিক সুবর্ণময়ী সামন্ত বলেন, আমরা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এই ধরণের অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প করেছি। বহু জায়গায় ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। আজ মঙ্গলবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রোগীর আত্মীয়রা বলছেন, “আমরা এখানে চিকিৎসার জন্য আসি। ধূমপানের ধোঁয়া শুধু রোগীদের ক্ষতি করছে না, আমাদেরও অসুবিধা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ খুব ভালো।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একজন চিকিৎসকের কথায়,“ধূমপান হাসপাতালের মতো জায়গায় একেবারেই মানানসই নয়। জরিমানার ভয়ে হলেও যদি মানুষ এ অভ্যাস ছাড়ে, তাহলে সত্যিই তা বড় সাফল্য।” সবমিলিয়ে এখন থেকে হাসপাতাল চত্বরে ধূমপান মানেই ২০০ টাকার ফাইন! অর্থাৎ রোগী-আত্মীয়রা তো বটেই, ক্যান্টিন থেকে শুরু করে আশেপাশের দোকানদারদেরও সতর্ক হতে হবে। না হলে যে কোনও সময় কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।