খেয়াঘাটের এক কর্মচারী সুব্রত মণ্ডল বলেন, “সকালে ৬টার সময় ডিউটি এসেছিলাম, তারপর ৭:৩০ নাগাদ কুমিরটা দেখতে পেলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম ওটা গুপ্তিপাড়ার দিকে চলে গেল। এর আগেও পালপাড়ায় কুমির দেখা গিয়েছিল।”
আরও পড়ুন: ১০ লাখের বেশি গাছ রোপণ! বর্ধমানের এই শিক্ষক পেয়েছেন নতুন নাম ‘গাছ মাস্টার’
advertisement
প্রসঙ্গত, এর আগেও কালনার ভাগীরথী নদী সংলগ্ন জাপোট এলাকায় বাড়ির উঠোনে উঠে পড়েছিল একটি কুমির। সেই ঘটনাতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। প্রশাসনের তরফে সে সময় বন দফতরকে জানিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবে আবারও ভাগীরথীর জলে কুমিরের দেখা মিলতে পুরানো আতঙ্ক নতুন করে ফিরে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমত দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। নদী পাড় সংলগ্ন এলাকার মানুষজন মাছ ধরা, স্নান কিংবা জল সংগ্রহের কাজও করতে ভয় পাচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত বন দফতর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। প্রয়োজনে নদীতে নজরদারি বাড়ানো হোক, কুমির ধরা বা স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হোক, যাতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়। কালনা পৌরসভার উপ পৌরপতি তপন পড়েল বলেন, “এটা সত্যি ঘটনা। সবাইকে সচেতন থাকার জন্য বলব। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। বন দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে।”
বিগত দিনেও ভাগীরথী নদীতে কুমিরের বিচরণ নিয়ে একাধিকবার সংবাদে উঠে এসেছে কালনার নাম। পরিবেশবিদদের একাংশ মনে করছেন, নদীর পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণেই হয়ত কুমিররা তাঁদের আবাস ছেড়ে নতুন এলাকায় চলে আসছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী