বছরের পর বছর ধরে এখানেই হয়ে আসছে শক্তির আরাধনা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম সংলগ্ন দক্ষিণডিহি গ্রামের শেষ ভাগে রয়েছে অট্টহাস সতীপীঠ। মন্দিরের সেবকের কথায় এখানে দেবী স্বয়ংভু। তাই এই মন্দিরের সঠিক বয়স বলা যায় না। জঙ্গলাকীর্ণ, নিরিবিলি এই স্থানে দেবীর মূল মন্দির ছাড়াও রয়েছে নাট মন্দির, কালীমন্দির এবং পঞ্চমুণ্ডির আসন। প্রতিবছর দোল পূর্ণিমার সময় মহাপুজো অনুষ্ঠিত হয় এই মন্দির চত্বরে।
advertisement
জঙ্গলে ঘেরা অপার নিরিবিলি এই মন্দির চত্বরের মুল ফটক পার করলেই যেন অনুভূত হয় এক অদ্ভুত গা ছমছমে ভাব। প্রাচীন এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও এক জনশ্রুতি। কথিত আছে এই মন্দিরের সঙ্গে নাকি জড়িয়ে রয়েছে রঘু ডাকাতের নাম। অট্টহাস মন্দির সূত্রে জানা যায়, ডাকাতি করতে যাবার আগে রঘু ডাকাত এই অট্টহাস জঙ্গলে মা কালীর পুজো করে রওনা দিত।
নিজের জীবনের বেশ কিছুটা সময় নাকি রঘু ডাকাত কাটিয়েছে জঙ্গলাকীর্ণ এই স্থানে। সন্ধ্যার পর এখানে জনসাধারণ প্রবেশ করতে রীতিমত ভয় পেত। তবে বর্তমানে এই মন্দির চত্বরের মধ্যে নির্মিত হয়েছে গেস্ট হাউস। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের জন্য যেখানে রয়েছে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা। স্বল্প মূল্যের বিনিময়ে অট্টহাস মন্দিরে রয়েছে ভোগ প্রসাদ গ্রহণের ব্যবস্থাও।
মন্দিরের সেবক রামজি মহারাজ বলেন, “একটা প্রচলিত কথা আছে যে আমাদের এই জায়গায় রঘু ডাকাতের ডেরা ছিল। তিনি এখানে মায়ের কাছে পুজো দিয়ে কর্মে বেরোতেন। তবে আমি মনে করি তিনি ডাকাত না, তিনি ছিলেন গরিব দরদী।” আসন্ন দীপাবলীতে অথবা হাতে কিছুটা সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন এই মন্দির থেকে। বাংলার চেনা ধানক্ষেত আর ঈশানি নদীকে সাক্ষী রেখে পৌঁছে যাবেন এই শক্তিপীঠে।