বর্তমানে এই ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোর সমস্ত দায়িত্ব ও আয়োজনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন আদ্রা ডিভিশনেরই এক রেলকর্মী। জানা যায়, ১৯২৮ সালে আদ্রা রেলশহরে কোনও শ্মশানঘাট ছিল না। সেই সময় এক মারাত্মক মহামারীতে একসঙ্গে ১৪ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে। তৎকালীন ডিআরএম চন্দ্র কুমার সরকারের উদ্যোগে তাদের শেষকৃত্যের জন্য ওই স্থানে ১৪টি পৃথক চুল্লি নির্মাণ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : কামারহাটিতে জন্ডিসের প্রকোপ, আক্রান্ত একাধিক! এলাকায় স্বাস্থ্য শিবির, মাঠে নেমেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর
সেই থেকেই স্থানটির নামকরণ হয় “চৌদ্দ চুলা”। পরবর্তীতে, স্থানটি শ্মশানঘাটে রূপান্তরিত হলে, চন্দ্র কুমার সরকার সেখানে কালীপুজোর প্রচলন করেন। আর এর পর থেকে এই স্থানটি শুধু শ্মশানঘাট হিসেবেই নয়, বরং একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্রের রূপ নিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে এই কালীপুজো আজও ঐতিহ্যের সঙ্গে চালিয়ে আসছেন রেলকর্মীরা। তাঁর উদ্যোগে সম্প্রতি এখানে নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে কালীমন্দির এবং উন্নত করা হয়েছে শ্মশানঘাটের পরিকাঠামো। প্রায় শতবর্ষ পেরিয়েও চৌদ্দ চুলা কালীপুজো আজও আদ্রা রেলশহরের গৌরব ও সংস্কৃতির জীবন্ত সাক্ষী হয়ে আছে।