এই শ্মশানে রয়েছে তিন চূড়া বিশিষ্ট মন্দির। জঙ্গল ঘেরা পরিবেশে তখন এখানে সাধনা করতে প্রথম আসেন শিবানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক তন্ত্র সাধক। তিনিই এখানে পুজো শুরু করেন। এক সময় আদিগঙ্গার পাড়ে ঘন জঙ্গলের মধ্যেই শুরু হয়েছিল শ্মশান কালীর আরাধনা। কালের নিয়মে জঙ্গল না থাকলেও, এখনও শ্মশান চত্বরে নির্জন পরিবেশ। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য সমাধি।
advertisement
আরও পড়ুন : থাইল্যান্ডের গ্র্যান্ডমাস্টার এবার বসিরহাটে! আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণের টিকিট মিলবে এখানেই
অধুনালুপ্ত আদি গঙ্গার তীরে অবস্থিত এই শ্মশান। এই জায়গায় বেশি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মানুষজনের সমাধি দেওয়া হয়। পাশাপাশি চলে দাহ করার কাজও। শিবানন্দ ব্রহ্মচারী মারা যাওয়ার পরে সাধুনি নামে এক মহিলা সাধু মায়ের সেবা করতে শুরু করেন। পরে গ্রামের বাসিন্দারাই পুজোর হাল ধরেন। সেই মন্দিরে কালীপুজো হয় আজও। দূরদূরান্ত থেকে আসেন ভক্তেরাও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পুজো নিয়ে মন্দির কমিটির সদস্য প্রদীপ সরদার জানিয়েছেন, কালীপুজোর দিন এখানে প্রায় ১০-১২ হাজার লোকের সমাগম হয়। বাইরে থেকে আসেন সাধু-সন্নাসীরা। তাঁরা এখানে যজ্ঞ করেন। সব মিলিয়ে সেই সময়ে এই মন্দির পরিপূর্ণ রূপ পায়। কালীপুজোর সময় গ্রামের মানুষজন মন্দিরকে সাজিয়ে তোলেন। চলে ভোগ বিতরণের কাজ। এই পুজো এখানে ঐতিহ্যের পুজো হয়ে উঠেছে ধীরে ধীরে।