তার মধ্যে অন্যতম কালীপুজো।দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজোর পর শক্তির দেবী কালিকার পুজোয় মেতে উঠেন আপামর বাঙালি।প্রচলিত নানা বিশ্বাস নিয়ে কালীপুজোয় পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড়ের গনুয়াতে ভিড় জমান লক্ষাধিক ভক্ত। মনস্কামনা পূরণের আশায় দুরদুরান্ত থেকে আসেন সাধারন মানুষ। গ্রাম জুড়ে থাকে উৎসবের আমেজ।
উৎসবের মেজাজে সকলে। ঐতিহ্য ও পরম্পরা প্রায় ২০০ বছর পার করেছে। এককালের পারিবারিক পুজো এখন সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। নারায়ণগড়ের গনুয়ার কালী পুজো বেশ কয়েক দশক পুরানো। ভক্তদের বিশ্বাসে বছরে শুধুমাত্র কালীপুজোর দিন ভিড় হয় বেশ কয়েক লক্ষ মানুষের। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, ছত্রিশগড়, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা থেকেও বহু মানুষ আসেন এখানে। কালের নিয়মে বদলেছে মন্দিরের চালচিত্র।কিন্তু জনপ্রিয়তা আজও কমেনি, বরং বেড়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এই পুজোয়। মাত্র কয়েক বছর হল তৈরি হয়েছে মন্দির।
advertisement
উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রায় ২০০ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচেই পূজিতা হচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের ১৫ নং কুসবশান অঞ্চলের গনুয়ার শ্মশান কালী মা। নিজেদের মনস্কামনা জানিয়ে পুজো দিতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় এই পুজোয়। জানা গিয়েছে, এলাকার এক জমিদার পরিবারের উদ্যোগে পুজো শুরু হলেও আজ তা সর্বজনীন রূপ পেয়েছে। দেবী কালিকার পুজোকে ঘিরে বসে মেলা, হয় যাত্রা, সঙ্গীতানুষ্ঠানের মতো আয়োজন।
গনুয়ার কালীমন্দিরে নেই কোনো মূর্তি। দুটি পাথরকে দিনের পর দিন দেবতা জ্ঞানে পুজো করছেন সকলে। রোগ ব্যাধি দুর থেকে সংসারে মঙ্গলকামনায় দুর দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন দেবীর কাছে।সপ্তাহে শনি, মঙ্গলবার ভিড় হওয়ার পাশাপাশি কালীপুজোর দিন সারা রাত ধরে পূজার্চনা।লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয় এখানে।
জানা যায়, বেশ কয়েকবছর আগেও খোলা আকাশের নিচে পূজিতা হয়েছেন দেবী কালী। তবে ভক্তদের উদ্যোগে, গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তবে লক্ষাধিক ভক্তের ভিড় ছিল এদিন।