শোনা যায় নেতাজিও এখানে আসতেন। তাই আজ অনেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সেই ইতিহাসকে ‘ছুঁয়ে দেখতে’ এই মন্দিরে আসেন। কাশিমবাজারের রাজা মণিন্দ্র চন্দ্র নন্দীর রাজবাড়িতে পুরোহিত ছিলেন শুধাংশু শেখর চট্টোপাধ্যায়। তিনি এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠাতা করেন। মা কালী তখন মাটির বাড়িতে থাকতেন। রাজা মণিন্দ্র চন্দ্র উদ্যোগী হয়ে এই আজকের এই মন্দির তৈরি করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : এবার পুজো মণ্ডপেও নিজের খেলা দেখাবে ‘এআই’! বলিউডের শিল্পী গড়ে তুলছেন প্যান্ডেল! না দেখলে বড় মিস
মন্দিরের সেবাইতরা জানিয়েছেন, ব্রিটিশ আমলে এই মন্দির এলাকায় কেউ থাকতেন না। তাই সহজেই এই মন্দির হয়ে ওঠে স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের গোপন ডেরা। আর মন্দিরে অন্য কেউ না এলেও পুরোহিতরা রোজ আসতেন। কিন্তু তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পূর্ণ সহযোগিতা করতেন এখানে লুকিয়ে থাকতে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুও আসতেন। এখানে থাকাকালীন ব্রিটিশরা তাঁর খোঁজ পাননি কখনও। তাই স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই মন্দির।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মন্দিরের সেবাইতরা জানিয়েছেন, কথিত আছে বহরমপুর এলাকার জাগ্রত দেবী আনন্দময়ী, করুণাময়ী ও কৃপাময়ী তিন বোন। ডাকাতরা নাকি মূর্তির গা থেকে গয়না খোলার সময় মায়ের একটি পা ভেঙে ফেলে। পরে বারাণসী থেকে আবার কষ্ঠিপাথর নতুন মুর্তি নিয়ে আসা হয়। কৃপাময়ী কালী মাকে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর পুরাতন মূর্তিটি আনন্দময়ী কালী মন্দিরে রাখা হয়। কালীপুজোর দিনে এখানে অনেকেই আসেন পুজো দিতে। কারণ এই মন্দির আছে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।