প্রতিবছর চমক দেওয়া এই ক্লাব থিম পুজোর পাশাপাশি একাধিক সামাজিক কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। পুরো মণ্ডপ সাজানো হয়েছে রং তুলির ছোঁয়ায়। প্রত্যেকটি কোণ, প্রতিটি দেয়াল, প্রতিটি স্তম্ভে আলপনা আঁকা হয়েছে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে। মণ্ডপে ঢুকতেই দর্শনার্থীরা যেন আলো, রঙ এবং শিল্পের এক অপূর্ব জগতে প্রবেশ করছেন। চোখ ধাঁধানো রঙ, নিখুঁত বিন্যাস এবং আর্টিস্টিক ছোঁয়া মিলে একটি অসাধারণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
advertisement
মনমুগ্ধকর চোখ ধাঁধানো এই মন্ডপে পুজো শুরুর আগে থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। মণ্ডপে শুধু আলপনা নয়, রয়েছে অনন্য সুন্দরী প্রতিমাও। প্রতিমার গঠন, চোখের সূক্ষ্ম কায়দা, এবং সাজসজ্জার বিন্যাস সব মিলিয়ে দর্শকের মনকে মুগ্ধ করছে। দ্যা প্যাশান হান্ট ক্লাব শুধুমাত্র থিম ও মণ্ডপ সাজানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা পুজোর সময় একাধিক সামাজিক কর্মসূচিও গ্রহণ করে। এ বছর তারা এলাকা দুস্থদের বস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে পুজোর সূচনা করে।
আরও পড়ুন : দীপাবলির পরেই শুরু হয় ভৈলিনি-দেওসি! কীভাবে এই উৎসব পালন করে? জেনে নিন এর গুরুত্ব
এছাড়াও রয়েছে সারা বছর একাধিক কর্মসূচি। ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা বুবাই জানা জানান, আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র একটি সুন্দর পুজো মণ্ডপ তৈরি করা নয়, বরং সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করাও। আলপনা থিমের মাধ্যমে আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নতুনভাবে তুলে ধরতে চাই। দর্শনার্থীদের প্রতিক্রিয়া আমাদের প্রেরণা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ক্লাবের এবারের আলপনা থিম নিছক একটি পুজো মণ্ডপ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের এক জীবন্ত প্রদর্শনী। ২৯তম বর্ষের এই অনন্য আয়োজন প্রমাণ করল, আধুনিকতার মোড়কেও দেশীয় সংস্কৃতি ও শিল্পকে সসম্মানে তুলে ধরা সম্ভব। শুধু পুজো নয়, সামাজিক অঙ্গীকারের পথে হেঁটে এই ক্লাব এগরা শহরবাসীর কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।