এক সময় মন্দিরে দেবীর সোনার মূর্তি ছিল, তবে এখন তা অতীত। বর্তমানে মূর্তিটি অষ্টধাতুর। সোনার সেই মূর্তিটি না থাকলেও আজও রয়ে গেছে সোনার কালীবাড়ি নামটি। যা বহন করে চলেছে রাজ আমলের ঐতিহ্য। অন্যান্য জায়গায় আমরা দেবীর যে রূপ দেখি, এখানে তার থেকে সম্পূর্ন ভিন্ন রুপ দেবী। এখানে দেবীর পায়ের নীচে নেই মহাদেব। বাইরে বেরিয়ে নেই জিভ। গলায় নেই মুণ্ডমালাও। দেবীর চারটি হাত উপরের দিকের বাম হাতে রয়েছে খড়্গ, উপরের ডান হাতে পদ্ম, নীচের ডান হাত অভয় মুদ্রা। দেবীর পায়ের কাছে রাখা থাকে বৃহৎ একটি শঙ্খ, যা ইতালি থেকে নিয়ে এসেছিলেন রানী। আজও সন্ধ্যা আরতির সময় বাজানো হয় সেই শঙ্খ।
advertisement
আরও পড়ুন : সোনার বদলে নুনেই ভাগ্যের খোঁজ, হঠাৎ বেড়ে গেল চাহিদা! দোকানে দোকানে আকাল, কী চলছে এখানে?
মন্দির ঘিরে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী। কথিত আছে, একই ঘটে পুজো হয়ে আসছে ১২৬ বছর ধরে। কারণ মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে শুকোয়নি ঘটের জল। আজও ভর্তি রয়েছে ঘট। শুধুমাত্র প্রতি অমাবস্যায় নিয়ম করে ঘটের আম্রপল্লব এবং ডাব পরিবর্তন করা হয়। শুধু দীপান্বিতা কালীপুজোতেই নয়, প্রতি অমাবস্যাতেই বিশেষ পুজোর আয়োজন হয় মন্দিরে। নিত্য ভোগে দেওয়া হয় মাছ। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার হয় নিরামিষ। দীপান্বিতা কালীপুজোতে থাকে বিশেষ ভোগের আয়োজন। ভোগে দেওয়া হয় মাছের টক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মন্দিরের ভিতরের তিনটি ঘরের একেবারে মধ্যিখানে, গর্ভগৃহে, রুপোর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত দেবী ভুবনেশ্বরী। ডান দিকে রয়েছেন দক্ষিণা কালী, বাম দিকে মঙ্গলচণ্ডীর মূর্তি। গর্ভগৃহের পূর্ব দিকের ঘরের, ঈশান কোণে পঞ্চমুণ্ডির আসন রয়েছে। ভুবনেশ্বরী মূর্তির সামনের নাটমন্দিরের উল্টো দিকের গেট পেরোলে, চোখে পড়ে দু’টি শিবমন্দির। দু’টি শিবলিঙ্গই সাদা পাথরে তৈরি। দীপান্বিতা অমাবস্যায় রাজ আমলের এই পুজো দেখতে ভিড় জমান বর্ধমানবাসী।