প্রতিবছরের মত এই বছরেও সে নিজেই তৈরি করছে মা কালীর প্রতিমা। শুধু তাই নয়, বছরভর সে গড়ে নানা দেবদেবীর ছোট ছোট প্রতিমাও। আশ্চর্যের বিষয় হল বিশ্বজিৎ কোনও গুরুর কাছে শেখেনি। প্রতিমা গড়ার কৌশল শিখেছে ইউটিউব দেখে, নিজের আগ্রহ আর অদম্য ধৈর্যকে সঙ্গী করে।
আরও পড়ুন : ৫১ ফুটের বিশাল কালীমূর্তি বর্ধমানে! প্রতিমা তৈরি করতে কত মাটি লাগল? জানলে ভিড়মি খাবেন
advertisement
এখনও ছোট মাপের প্রতিমা বানালেও, তার আত্মবিশ্বাস দৃঢ় একদিন সে গড়বে বড় ঠাকুর, নিখুঁতভাবে। বিশ্বজিতের এই গল্প মনে করিয়ে দেয় সোশ্যাল মিডিয়া শুধু বিনোদনের নয়, শেখারও এক অসীম ক্ষেত্র। আর যদি নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকে, তাহলে সত্যিই মানুষ পারে সব কিছু করতে। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকেই বিশ্বজিৎ মূর্তি বানানো শুরু করে। পড়াশোনা এবং মূর্তি বানান পাশাপাশি চালিয়ে যায় সে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শালতোড়ার লাপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ তখন থেকেই একটু একটু করে মূর্তি বানানোর প্রতি আগ্রহ মজবুত করতে থাকে। বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীতে কলা বিভাগের ছাত্র বিশ্বজিৎ। বিশ্বজিৎ জানিয়েছে, ইচ্ছা থাকলে সব হয়। মন থেকে যদি কেউ কিছু শিখতে চায়, তাহলে আজ-কালকার দিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সবকিছুই শিখে নেওয়া যায় বিনামূল্যে। এমনটাই করে দেখিয়েছে বাঁকুড়ার কিশোর।