কী ঘটেছিল সেদিন? কী ভাবে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ডাকাতকালী মন্দিরের? গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো সেই কিংবদন্তি শোনালেন সিঙ্গুরের ডাকতকালী মন্দির উন্নয়ন কমিটির মদনমোহন কোলে৷ মদনমোহন বাবু জানালেন, সেদিন সেই সঙ্কটের মুহূর্তে হঠাৎ করেই মা সারদার স্নিগ্ধ, শান্ত মুখের মধ্যে রক্তচক্ষু মা কালীর মুখ দেখতে পান রঘু-গগন ডাকাতেরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাঙে ভুল৷ অন্যায় বুঝতে পেরে মা সারদার কাছে ক্ষমা চায় গোটা ডাকাতদল। সে দিন সন্ধে নামার পরে ডাকাতদের আস্তানাতেই রাত কাটানোর ব্যবস্থা হয় মা সারদার৷ জানা যায়, সেই রাতে মা সারদাকে চাল, কড়াই ভাজা খেতে দিয়েছিল রঘু ডাকাতেরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: শ্রীরামকৃষ্ণ যেতেন নিয়মিত, একসময় হত নরবলিও! জানেন এই কালীবাড়ির গা ছমছম করা ইতিহাস
সেই থেকেই বর্ধমানের ডাকাতকালী মন্দিরে কালীপুজোর দিন নৈবেদ্যে মা কালীকে নিবেদন করা হয় চাল কড়াই ভাজা৷ শোনা যায়, ওই ঘটনারও অনেককাল পরে বর্ধমান রাজার দান করা জমিতে তৈরি হয় মন্দির৷ সেখানেই প্রতিষ্ঠা করা হয় মা ডাকাতকালীর৷
আরও পড়ুন: কালীপুজো-ভাইফোঁটায় বৃষ্টি? সাগরে নিম্নচাপের কালো মেঘ, ভাসবে কোন কোন জেলা?
মন্দির কমিটির মদনমোহন বাবু জানালেন, কালী পুজোর দিন চার প্রহরে চারবার পুজো হয় মায়ের৷ হয় ছাগ বলিও। এছাড়া, প্রাচীন প্রথা মেনে কালীপুজোর দিন মায়ের প্রসাদ হিসাবে চাল, কড়াই ভাজা দেওয়া হয়। এছাড়া লুচি, পায়েস, ফল, খিচুড়ি, বিভিন্ন পদের ভাজা ও পোলাও দেওয়া হয় ভোগে। কালীপুজোর দিন গঙ্গা থেকে গ্রামের তফশিলিভুক্ত পরিবারের আনা জল দিয়ে পাল্টানো হয় মায়ের ঘটের জল।