প্রসঙ্গত, আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে ওই এলাকার সুকুল জমিদার এই পুজো শুরু করেন। একজন পুরোহিত পুরো এলাকা ঘুরে সাত কালীর পুজো সারতেন। সবশেষে ঘাটকালীর পুজো করতে গিয়ে সকাল হয়ে যেত। সেই থেকেই আজও ঘাটকালীর পুজো সকালেই করা হয়। যা বিকেল পর্যন্ত চলে। এই পুজোর আরেক বিশেষত্ব হল, কালীপুজোর রাতে অন্য কালীপুজো হওয়ার পরের দিন ঘাটকালীর কাছে সব কালী প্রতিমা জমায়েত হয়। সেদিন বিকেলেই সব কালী একসঙ্গে বিসর্জন দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নভেম্বর-ডিসেম্বরের এই ১২ দিনে বসবে লক্ষ লক্ষ বিয়ের আসর, পঞ্জিকা মতে কোন কোন দিন শুভ? জানুন
তবে বর্তমানে সন্ন্যাসকালী মণ্ডলপাড়ার জায়গা সরকারি কৃষি ফার্মের অধীনে চলে গিয়েছে। যার জেরে এই পুজো বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। প্রতিবছর ঘাটকালী পুজোতে মেলা বসে ও প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। এলাকাবাসীদের মতে, এই সাত কালীকে তারা সাত বোন হিসেবেই দেখেন। এলাকার স্কুল মোড়ে রয়েছে বামাকালী, সেন্ট পিটার্স এলাকায় সুরকালী, মাহিনগর এলাকায় চন্ডী কালী, নদীর পাড়ে নির্দয়া কালী, মিশন এলাকায় বুড়াকালী, সন্ন্যাস কালী ও বিসর্জনের ঘাটে ঘাট কালী।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় বিশ্বাসে এই সাত কালীমাতা সাত বোন। তার মধ্যে সবচেয়ে ছোট বোন ঘাটকালী। তাই তার পুজো সবার শেষে করার রীতি চলে আসছে। এই সাত কালীপুজোর প্রতিষ্ঠাতা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করতেন না। নদীর ধারে একটি পুকুর কেটে সেখানে বিসর্জন দেওয়ার রীতি চালু করেছিলেন। পুরনো সেই নিয়ম মেনে এবছরও সেখানে বিসর্জন হবে। সারারাত ধরে একজন পুরোহিত এই সব কালী পুজো করেন বলে ঘাট কালীর পুজো পরের দিন সকালে হয়। সে দিনই সন্ধ্যায় সব কালী প্রতিমা এসে ঘাটকালী এলাকায় জমা হবে। তখনই তাদের একসঙ্গে বিসর্জন দেওয়া হয়।
সুস্মিতা গোস্বামী