সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে এবং সাধারণ মানুষ সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না তা জানতেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন এই কর্মসূচি শুরু করেছে শাসক দল। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের দূত হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি এবং পদাধিকারীরা। যদিও বহু জায়গাতেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বাদ যাচ্ছেন না পোড়খাওয়া সাংসদ, বিধায়করাও।
advertisement
আরও পড়ুন: "মিথ্যা কথা! কাল মাটন, বেগুন ভাজা, সব খেয়েছি" বিতর্কের জবাব দিলেন শতাব্দী
এ সবের মধ্য়েই সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে তাঁদের মন পাওয়ার চেষ্টায় ত্রুটি রাখছেন না দিদির দূতরা। যেমন শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসত লোকসভার অন্তর্গত ছোট জাগুলি এলাকায় জনসংযোগে যান সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এলাকার বাসিন্দদাদের বাড়িতে ঢুকে বসে মন দিয়ে আমজনতার সমস্যার কথা শুনতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি শঙ্খ বাজিয়ে স্থানীয় একটি শিব মন্দিরেও পুজো দেন বারাসতের সাংসদ।
আরও পড়ুন: সিপিএমকে আমন্ত্রণ, ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তিতে কেন ব্রাত্য় তৃণমূল? ব্য়াখ্য়া দিলেন অধীর
যদিও ছবিটা সর্বত্র একই ছিল না। যেমন এ দিনই পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর বিধানসভার গোকুলপুর অঞ্চলের কাজি পাটনা গ্রামে দিদির দূত হিসেবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া। কাজি পাটনা গ্রামে গোকুলানন্দ বাবাজির মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। যদিও রাস্তা খারাপ সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কথা শুনতে হয় তাঁকে।
একই ভাবে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরেও জনসংযোগে বেরিয়ে স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ রায়কে নিয়ে দলীয় কর্মীদের একাংশেরই ক্ষোভের মুখে পড়েন বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল৷ উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই এক বিজেপি নেতাকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে৷
সহ প্রতিবেদন: পঙ্কজ দাশরথি