ময়নার রাসমেলায় দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিষ্টির দোকান নিয়ে বসেন ভানুমোহন দাস সহ বিভিন্ন মিষ্টির দোকানদারেরা। মেলায় এক একটি মিষ্টির দোকানদার গড়ে ৩৫-৪০ কুইন্টাল চিনির কদমা তৈরি করেন। চিনিকে জলের সঙ্গে ফুটিয়ে তৈরি হয় চিনির গাঢ় মিশ্রণ। সেই মিশ্রণে মাত্র দুই চা চামচ লেবুর রস দেওয়া হয়। তারপর আঁচ থেকে নামিয়ে চিনির রস একটি লম্বা পাত্রের মধ্যে ঢালা হয়। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে এলে একটি মন্ড আকারে পরিণত হয়। তারপর ওই মন্ডটি বারবার সুতোর মত টানাটানি করে ধবধবে সাদা করা হয়। সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গেলে একটি পাটাতনের উপর ফেলে পুরো মন্ডটিকে ৩২টি ভাঁজ করা হয়। তারপর সেখান থেকেই নানা সাইজের কদমা তৈরি করা হয়। টেনিস বলের আকৃতি থেকে শুরু করে ফুটবলের সাইজের কদমা পাওয়া যায়।
advertisement
কদমা তৈরির কারিগর জানান, “চিনির মিশ্রণটি গাঢ় না হলে কদমা তৈরি করা যায় না। ৪৬৫ বছরের প্রাচীন ময়নার রাসমেলার কদমা মিষ্টি খুব জনপ্রিয়। প্রতিবছর রাসের সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি অন্যান্য জেলার লোকজন মূলত কদমা মিষ্টির টানে ময়নার রাসমেলায় ভিড় করে।”
বুধবার থেকে রাসমেলা শুরু হচ্ছে। এখন থেকেই দোকান বাঁধার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন বিভিন্ন দোকানদারেরা। ময়নার রাসমেলায় বিভিন্ন মিষ্টির দোকানদারেরা কদমা তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এক একটি দোকানে চার-পাঁচ জন করে দক্ষ কারিগর রাসমেলার এই জনপ্রিয় মিষ্টি তৈরি করছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ময়নার রাসমেলার অন্যতম আকর্ষণ থালার মতো বড় বড় বাতাসা ও ফুটবলের মতো কদমা মিষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন ও বৃহত্তম রাসমেলার জন্য শুধু ময়নাবাসী নয়, জেলার অন্যান্য জায়গা সহ পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের লোকেরাও অপেক্ষা করে থাকেন। বর্তমানে এই মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে। আগামী ৫ নভেম্বর থেকে মেলা শুরু হচ্ছে। তার আগে ময়না রাসমেলা চত্বরে বসেছে এই মিষ্টির দোকান। সেখানে কদমা বানানোর ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো।





