Digha: দিঘায় পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ! সমুদ্রে স্নান-সৈকতে ঘোরাঘুরি তো অনেক হয়েছে, এবার টুরিস্টদের নজর কাড়ছে 'জীবন্ত মূর্তি'

Last Updated:

Digha: দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি হয়তো কোনও পাথরের মূর্তি, কিন্তু কাছে এলে বোঝা যায়, সেই ধারণা ভুল। দিঘায় ঘুরতে আসা পর্যটকেরা প্রথমে এক ঝলক দেখে অবাক হয়ে যান, কেউ তাঁকে ছুঁয়ে দেখেন, কেউ সেলফি তোলেন, কেউ আবার ভিডিও বানান।

+
দিঘার

দিঘার সমুদ্র সৈকতে জীবন্ত মূর্তি মানস সরেন

দিঘা, মদন মাইতিঃ প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই দিঘার সমুদ্রতটে এক আশ্চর্য দৃশ্য দেখা যায়। এক যুবক সোনালী রঙে মোড়া শরীরে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকেন, যেন এক অচল মূর্তি! দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি হয়তো কোনও পাথরের মূর্তি, কিন্তু কাছে এলে বোঝা যায়, সেই ধারণা ভুল। এই যুবক ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাসিন্দা মানস সরেন। রোজ নিজের শরীরকে মূর্তির আকারে রঙিন করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দিঘার সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পর্যটকেরা প্রথমে এক ঝলক দেখে অবাক হয়ে যান, কেউ কেউ তাঁকে ছুঁয়ে দেখেন। অনেকে আবার বিস্ময়ে মুগ্ধ হয়ে এই যুবকের সঙ্গে সেলফি তোলেন, কেউ বা ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন সেই অনন্য মুহূর্ত। দিঘার সমুদ্রতটে এমন দৃশ্য এখন এক নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ দিঘায় অঘটন! স্নানের মাঝে অসুস্থ হয়ে তলিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি, উদ্ধার করলেন নুলিয়ারা
মানস সরেনের এই জীবন্ত শিল্পের পিছনে রয়েছে এক কঠিন বাস্তব। বালেশ্বরের এই যুবক একসময় বিভিন্ন মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে মূর্তি সেজে মানুষকে আনন্দ দিতেন। রাম, কৃষ্ণ, সৈনিক বা স্বাধীনতা সংগ্রামীর সাজে মূর্তির মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতেন তিনি। কিন্তু সেইসব জায়গায় খুব সামান্য আয় হত, যা দিয়ে সংসার চালান সম্ভব ছিল না। অর্থনৈতিক কষ্ট থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দিঘায় হাজির হন মানস।
advertisement
advertisement
প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান। তাঁদের মুখে হাসি ফোটানোই এখন মানসের পেশা। সন্ধ্যা নামতেই তিনি নিজের শরীরে রঙ লাগিয়ে, মুখে ধাতব আভা এনে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেন। পাথরের মূর্তির মতো সে কোনও কিছুতেই নড়েও না, কথাও বলে না। পর্যটকরা বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন, কেউ তাঁকে কিছু টাকা দেন, কেউ আবার কৃতজ্ঞতায় অভিভূত হয়ে প্রশংসা করে চলে যান।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মানস বলেন, “আমি মূর্তি হয়ে থাকি, কিন্তু আমার মূর্তিতে প্রাণ আছে। মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার জীবনের আনন্দ।” দিঘার বালুকাবেলায় এখন মানস সরেন এক পরিচিত মুখ। তাঁর এই জীবন্ত শিল্প শুধু পর্যটকদের আনন্দই দিচ্ছে না, দিচ্ছে এক অনন্য বার্তা- সংগ্রামের মধ্যেও যদি ইচ্ছে থাকে, তবে জীবনকেও শিল্পের রূপ দেওয়া যায়।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Digha: দিঘায় পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ! সমুদ্রে স্নান-সৈকতে ঘোরাঘুরি তো অনেক হয়েছে, এবার টুরিস্টদের নজর কাড়ছে 'জীবন্ত মূর্তি'
Next Article
advertisement
হরিয়ানার ফরিদাবাদে ১৭ বছর বয়সি মেয়েকে বাড়ির কাছে গুলি ! টিউশনের বন্ধু পলাতক
হরিয়ানার ফরিদাবাদে ১৭ বছর বয়সি মেয়েকে বাড়ির কাছে গুলি ! টিউশনের বন্ধু পলাতক
  • হরিয়ানায় ভয়াবহ কাণ্ড !

  • ফরিদাবাদে ১৭ বছর বয়সি মেয়েকে বাড়ির কাছে গুলি !

  • টিউশনের বন্ধু পলাতক

VIEW MORE
advertisement
advertisement