মোট ৩৫ দিন ধরে চলবে এই প্রশিক্ষণ। প্রাথমিকভাবে ২০ জন মহিলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রথম দুই সপ্তাহে দেওয়া হচ্ছে বেসিক প্রোগ্রাম, যাতে পাটের ব্যবহার, কাটা–ছেঁড়া থেকে শুরু করে প্রাথমিক কাজগুলি ভালোভাবে শেখানো হবে। এরপর এক সপ্তাহ চলবে অ্যাডভান্স প্রোগ্রাম, যেখানে আরও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে। আর শেষের দুই সপ্তাহে মহিলারা অংশ নেবেন ডিজাইন প্রোগ্রামে। এই পর্যায়ে তাঁরা পাট দিয়ে নানা আধুনিক ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের সামগ্রী তৈরির কৌশল রপ্ত করবেন। ন্যাশনাল জুট বোর্ডের ডিজাইনার এবং মাস্টার ট্রেনার সুনেলা চ্যাটার্জী বলেন, এতে মহিলাদের অনেকটাই উপকার হবে বলে আশা করি। এই প্রশিক্ষণের পর মহিলারা বিভিন্ন মেলায় স্টল দিয়ে তাঁদের জিনিস বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও সরকারি দফতর থেকেও পলিউশন ফ্রি সামগ্রীর অর্ডারও আসবে বিভিন্ন সময়।
advertisement
প্রশিক্ষণের মধ্যেই মহিলারা ইতিমধ্যেই তৈরি করতে শুরু করেছেন নানারকম জিনিসপত্র যেমন পাটের ব্যাগ, ওয়াল কার্পেট, ফুলদানি, পেনদানি থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারযোগ্য আরও অনেক পণ্য। এগুলির বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে, ফলে ভবিষ্যতে তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে নিজস্ব উদ্যোগে এই সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। এতে একদিকে যেমন তাঁদের সংসারে আর্থিক স্বস্তি আসবে, তেমনই অন্যদিকে সমাজে গড়ে উঠবে মহিলাদের আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদা।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ন্যাশনাল জুট বোর্ডের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র একটি প্রশিক্ষণ শিবির নয়, বরং মহিলাদের জন্য একটি নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দরজা। পাটের মতো প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে মহিলারা যদি নিজেদের হাতে তৈরি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, তবে একদিকে স্থানীয় অর্থনীতির চেহারা পাল্টাবে, অন্যদিকে মহিলাদের স্বনির্ভরতার পথে তৈরি হবে এক নতুন অধ্যায়।