পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষদের আত্মার শ্রাদ্ধ-শান্তি করার জন্য গয়ায় বহু মানুষের ভিড় জমে। পিণ্ডদান ও শ্রাদ্ধকর্ম করার জন্য শাস্ত্রে ৫৫টি স্থানের গুরুত্ব স্বীকার করা হয়েছে। এই ৫৫টি স্থানের মধ্যে বিহারের গয়াই সর্বাধিক শ্রেষ্ঠ। সাধারণত চালের তৈরি পিণ্ড দান করা হয়ে থাকে। কিন্তু বিহারের গয়ায় ফল্গু নদীর তীরে বালির তৈরি পিণ্ডদান করা হয়, যাকে চালের পিণ্ডদানের সমান মনে করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গেও রয়েছে এক ‘গঙ্গাসাগর’! অসংখ্য ভক্তের ঢল! জানুন কোথায়
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দেবপ্রসাদ ত্রিপাঠী তিনি জানান, শুধু বঙ্গবাসী নয় গঙ্গাসাগরের পবিত্র জায়গায় এসে দেশের ও বিদেশের বহু মানুষ তাদের পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তি কামনা করে মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে এসে পিণ্ডদান করেন। পিণ্ডদানের মাধ্যমে তাদের পিতৃপুরুষের আত্মা মোক্ষ লাভ করেন বলে মনে করা হয়।বাল্মীকি রামায়ণে গয়ায় বালির পিণ্ডদানের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পঞ্চানন কর বলেন, পূর্বপুরুষ থেকে এই প্রথা চলে আসছে মূলত রামায়ণের সময়কালে সীতা রাজা দশরথের মৃত্যুর পর বালি দিয়ে পিন্ডদান করেছিলেন তারপর থেকে এই প্রথা চলে আসছে।