সোমবার ভোর থেকেই ভক্তদের ভিড় জমতে শুরু করে।বিকেলে সেই ভিড় কয়েক গুণ বেড়ে যায়।লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রস্তুত জেলা পুলিশ ও প্রশাসন।অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দির ও মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরা।এর পাশাপাশি ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চলছে প্রশাসনের তরফ থেকে।প্রশাসনিক সূত্রে খবর এবছর মেলা প্রাঙ্গণে প্রায় ২০০টি সিসি ক্যামেরা ও ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
তবে কেন এত জনপ্রিয় এই মেলা! এই বিষয়ে জানা যায় প্রসঙ্গত ১৬৮৩ সালে বর্ধমানের রাজা কীর্তিচন্দ্র বীরভূমের অজয় নদের রাধা-বিনোদের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই স্থানটির সঙ্গে কবি জয়দেবের নাম জড়িয়ে রয়েছে। প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজের মাধ্যমে বর্ণিত রয়েছে নানা কাহিনি।রয়েছে নানান দেবদেবীর মূর্তি।এই জয়দেব মেলা মূলত বাউল-ফকিরের মেলা হিসাবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: বাজার থেকে নকল হলুদ গুঁড়ো কিনে খাচ্ছেন? শান্তিপুরের ঘটনায় শিউরে উঠবেন
অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে কড়া পুলিশ প্রশাসন।মেলার বাইরে মোট ৮ টি পার্কিং ও ২৩টি ড্রপগেট স্থাপন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি ফায়ার ফাইটিং টিম রাখা হয়েছে।ভক্তদের নিরাপত্তায় প্রায় ১৬৩৪ জন সিভিক ভলান্টিয়ার, ৭৩৬ জন পুলিশকর্মী, ১৭টি অ্যান্টি ক্রাইম টিম ঘুরে বেড়াচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণে।মহিলাদের নিরাপত্তায় দু’টি উইনার্স টিম থাকছে মেলায়।গ্রামীণ এই মেলায় মূলত বাউল-ফকিররা সমবেত হন। তাই তাঁদের থাকার জন্য স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে মোট ২৫১টি আখড়া ব্যাবস্থা করা হয়েছে। তিন দিন ধরে আয়োজন করা হয় প্রত্যেক বছর।
সৌভিক রায়





