চাকরি শিবিরটি অনুষ্ঠিত হয় এগরা জেলা কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্র অফিস প্রাঙ্গণে, যেখানে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নথিভুক্ত প্রার্থীদের আহ্বান জানান হয়। এই শিবিরে অংশগ্রহণ করে দেশের অন্যতম কর্পোরেট সংস্থা রিলায়েন্স নিপ্পন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি, যারা স্থানীয় যুবতী ও যুবকদের বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুযোগ করে দেয়।
আরও পড়ুন: কালো মেঘ, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, হঠাৎই নেমে এল সাক্ষাৎ যমদূত! মর্মান্তিক ঘটনা পিংলায়
advertisement
সকাল থেকেই এগরা জেলা কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রের চত্বরে ভিড় জমতে শুরু করে। পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্নাতক পাশ যুবতীরা এই চাকরি শিবিরে অংশ নিতে ছুটে আসেন। কেউ এসেছেন নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে। কেউ বা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার আশা নিয়ে আসেন। শিবিরে অংশগ্রহণের জন্য আগে থেকেই সরকারি এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত থাকতে হয়েছে প্রার্থীদের। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই কলেজ পাশ করে বসে ছিলেন উপযুক্ত সুযোগের অপেক্ষায়। অবশেষে সরকারি উদ্যোগে এই চাকরির শিবির তাঁদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চাকরি শিবিরের দিন, প্রথমে একটি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রার্থীদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে বাছাই করা হয়। পর্যায়ক্রমে নেওয়া হয় ইন্টারভিউ। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং কাজ শেখার মানসিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। শিবিরে অংশ নেওয়া সব প্রার্থীই ছিলেন মহিলারা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই ধরনের আয়োজন তাঁদের নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। অনেকেই কলেজ শেষ করার পর চাকরির আশায় বাড়িতে বসে ছিলাম সরকারি উদ্যোগে এই কর্মসংস্থানের সুযোগ তাদের আশার আলো দেখিয়েছে। যদিও রিলায়েন্স নিপ্পন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির নিয়োগ প্রক্রিয়া ও আগ্রহ থেকেই বোঝা গিয়েছে, স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিভাবান প্রার্থীদের নিজেদের সংস্থায় যুক্ত করতে তাঁরা বেশ আগ্রহী।
এগরার এই বিশেষ চাকরি শিবির একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে, অন্যদিকে তেমনই অনেক মহিলার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছেন, শুধুমাত্র শহরেই নয়—জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও যোগ্যতা থাকলে কর্পোরেট চাকরির দরজায় পৌঁছন সম্ভব। এই শিবির স্পষ্ট করে দিল—সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ একসঙ্গে কাজ করলে, কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে। যদি এই ধরনের উদ্যোগ নিয়মিত ও সংগঠিতভাবে পরিচালিত হয়, তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মত এলাকাগুলি ভবিষ্যতে রাজ্যের কর্মসংস্থানের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।
মদন মাইতি