সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নদীয়ার কল্যানী থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খাদ্য দফতর ও পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১৫ জন যুবকের কাছ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- লজেন্সের লোভ দেখিয়ে 'নাতনি'কে ডাক, পৈশাচিক রূপ বেরিয়ে এল প্রতিবেশী দাদুর! তোলপাড় মন্দিরবাজার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম গৌতম মজুমদার। কাটোয়া শহরের ঘোষেশ্বর তলা এলাকার যুবক সুমন্ত দাস কাটোয়া থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে অভিযুক্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা লেনদেনের হদিস মেলে। এর পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
অভিযোগকারী সুমন্ত দাস বলেন, কাটোয়ার পানুহাটের এক বন্ধুর মারফত গৌতম ও তার ছেলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তাদের কলকাতা পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার হাত রয়েছে বলেও খবর পাই। এরপর নদীয়ার কল্যাণীতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। গৌতম তার অফিসে বসিয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
কাটোয়া শহরের ১৫ জন যুবকের কাছ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ও নগদে মোট ১৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিল সে। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও চাকরি মেলেনি। এর পর তাঁরা টাকা ফেরত চাইলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এর পরই কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কাউকে কলকাতা পুলিশ, কাউকে রাজ্য পুলিশ, কাউকে খাদ্য দপ্তরের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি।
আরও পড়ুন- বাইকে এসে সপাটে ধাক্কা গাড়ির, রাজারহাটে মর্মান্তিক মৃত্যু তৃণমূল নেতার!
কারও কাছ থেকে এক লাখ, কারও কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা, আবার কারও কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকাও নেওয়া হয়েছে। চাকরি না পেয়ে প্রতারিতরা টাকা ফেরত চাইলে তাদের দেখে নেওয়া হবে, খুন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় অভিযোগ। এর পরই তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন।