অনেকে বলছেন কলকাতায় গিয়েছেন টগরী দেবী। আবার কেউ বলছেন তিনি স্বামীর মঙ্গল কামনায় পুরীতে, জগন্নাথদেবের কাছে পরিবারের সঙ্গে পুজো দিতে গিয়েছেন। তবে আসলে তিনি কোথায় গিয়েছেন জানা নেই কারই।
প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের টগরী সাহা নির্দল প্রার্থী হয়ে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির ১১ নম্বর আসনে মনোনয়নপত্র জমা করেছিলেন। তবে এরইমধ্যে তৃণমূলের তরফে সুপ্রিম নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, কোনও নির্দল প্রার্থীকে দল সমর্থন করবে না। এরপরই ২০ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন টগরী সাহা। তবে তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। বাড়িতে ঝুলছে তালা।
advertisement
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই টগরী সাহা নির্দল প্রার্থী হয়ে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির ১১ নম্বর আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ভেবেছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির ওই আসনে দাঁড়ালে শাসকদল তাঁকে টিকিট দেবে। যদিও মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও উত্তর দেননি। এমনকী স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকেও কোনও আমল দেননি। তবে সেদিন তাঁর পাশে ছিলেন বড়ঞা ব্লক তৃণমূল সভাপতি রবীন কুমার ঘোষ। তিনি সেদিন জানিয়েছিলেন টগরী সাহা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করছেন। আগামী দিনে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু শেষমেশ দলের টিকিট না পাওয়াতেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী।
টগর সাহার মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে বড়ঞা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আজাদ মল্লিক জানিয়েছেন, “আসলে তৃণমূল প্রথম থেকেই টগর সাহা কে নিয়ে আতঙ্কে ছিল। বড়ঞায় যেখানেই দাড়াক হার নিশ্চিত বুঝেই টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।” উল্লেখ্য, বড়ঞা পঞ্চায়েত সমতির ১১ নং আসনে এবার লড়াই হচ্ছে কংগ্রেস পম্পা অধিকারী ও তৃণমূলের প্রার্থী সুলতানা বেগমের মধ্যে। নির্দল টগরী সাহা তুলে নিয়েছেন আর কোনও নির্দল নেই। বিজেপি ও অন্য দলের প্রার্থী নেই।