শিল্পী বলেন, ‘চাহিদা নেই বললেই চলে। আগে এক মরসুমে এখানে ২৫-৩০টি গণেশ বিক্রি হত। এই বছর মাত্র সাতটা প্রতিমা বিক্রি হয়েছে। আয় হয় না, সংসার চলে না। কুমোরটুলির প্রতিমার কদর বেড়েছে। আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি’। শিবশঙ্করবাবুর কথায়, কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। চাহিদা এত বেশি ছিল কাজের চাপ সামলাতে লোক রাখতে হত। আজ সেই সময় অতীত। বিক্রি কমে যাওয়ায় সমস্ত কাজ একাই করেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই ভোলবদল! পাল্টে গেল জলপাইগুড়ির ‘এই’ রাস্তার চেহারা, খুশি এলাকাবাসী
চলতি বছর অতিরিক্ত বৃষ্টি পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। ‘ভিনরাজ্যে প্রতিমা গেলেও সংখ্যায় তা খুবই কম। লোকাল মার্কেটে প্রায় কাজ নেই’, হতাশ সুরে বলেন শিবশঙ্করবাবু।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঝাড়গ্রামের এই প্রাচীন শিল্পের এখন বড় চ্যালেঞ্জ বেঁচে থাকা। মৃৎশিল্পীরা বলছেন, সরকারি উদ্যোগ না থাকলে এই ঐতিহ্য একদিন হারিয়ে যাবে। তাঁদের দাবি, প্রদর্শনী, বাজার এবং অনলাইন বিক্রির সুযোগ তৈরি করা হোক। উৎসবের রঙে মিশে আছে তাঁদের অদৃশ্য পরিশ্রম। তবু যেন আজও আলো ঝলমলে শহরের আনন্দের বাইরে থেকে যাচ্ছেন গ্রামের এই শিল্পীরা।