মহাকুম্ভ মেলায় কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে ঠিক তেমনই ঝাড়গ্রাম জেলা মেলা ও যুব উৎসবে উপচে পড়তে চলেছে মানুষের জনজোয়ার। ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে নজর কাড়া বর্ণাঢ্য পদযাত্রার মাধ্যমে মেলার সূচনা হয়। মেলার উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, এই বছর ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মেলায় বহু নতুন দোকান বসেছে। সংখ্যাটা প্রায় ১২০০ এরও বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন: ডেকে ডেকে চাকরি দিচ্ছে সরকার! কপাল খুলে গেল এই জেলার বেকার যুবক-যুবতীদের
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতিবছর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এই মেলা। এই বছর এই মেলা চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১২ দিন ধরে। মেলার উদ্যোক্তাদের দাবি, মেলা চলাকালীন এই ১২ দিনে প্রায় ১২ থেকে ১৫ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে চলেছে। প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। তারা আরও জানিয়েছেন, “মানুষের নিরাপত্তাই কোনও খামতি রাখা হয়নি। ঝাড়গ্রামের প্রথম এবং অতি প্রাচীন মেলা হওয়ায় মেলার মধ্যে জঙ্গলমহলের প্রতিটি সাংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। তাই মেলার মধ্যে তিনটি মঞ্চ থাকে।”
প্রথম মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দ্বিতীয় মঞ্চটি জঙ্গলমহলের আদিবাসী মূলবাসি সমাজের নৃত্য, সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য এবং তৃতীয় মঞ্চটি থাকে কলকাতা, মুম্বই থেকে আগত নামিদামি শিল্পীদের অনুষ্ঠানের জন্য। কেবলমাত্র অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নয় এই মেলা। ক্রীড়া থেকে শুরু করে অঙ্কন প্রতিযোগিতা সব কিছুরই অঙ্গ এই মেলার। ৮ থেকে ৮০ বছরের বয়সের পুরুষ থেকে মহিলা শুরু করে সকলের জন্য দৌড় ,তীরন্দাজি, লোহা বল নিক্ষেপণ ,অঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকে।
ঝাড়গ্রাম জেলা মেলা ও যুব উৎসব ২০২৫ এর যুগ্ম সম্পাদক অজিত মাহাতো বলেন, ‘আজ থেকে ৫০ বছর আগে ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে এই মেলা শুরু হয়েছিল। তখন প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা ছিল এটি। তৎকালীন ঝাড়গ্রাম মহকুমার বুকে কোনও মেলা ছিল না। স্থানীয় যুবক এবং প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মেলার পথ চলা শুরু হয়। এই বছর মেলাতে নজর কাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে থাকছে কলকাতা ও মুম্বাই থেকে আসা নামিদামি সংগীত শিল্পীরা”। ঝাড়গ্রাম জেলা মেলা ও যুব উৎসবকে ঝাড়গ্রামের পর্যটন মানচিত্রের সঙ্গেও যুক্ত করা হয়েছে। ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে এই মেলার। একবার মেলা ঘুরলে বারে বারে যেতে ইচ্ছা করে সকলের।
বুদ্ধদেব বেরা