হাওড়া পৌঁছতেই ওই দুই কিশোরকে দেখে সন্দেহ হয় টিকিট পরীক্ষকের। টিকিট পরীক্ষক তাদের আটক করেন। টিকিট পরীক্ষককে দেখে তাদের মধ্যে একজন পালিয়ে যায়। অপর কিশোরকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা জানতে পারেন, যে তার বাড়ি বিনপুরে। এরপর টিকিট পরীক্ষক তাদের টিকিট দিয়ে তার গন্তব্যে অর্থাৎ ঝাড়গ্রামে যেতে বলেন। সে ফের ভুল ট্রেনে চেপে আরামবাগের দিকে চলে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : বৃষ্টির দাপটে টালমাটাল কুমোরটুলি, শিল্পীদের ঘুম উড়েছে! দুর্গাপুজোয় কী বড় ধাক্কা?
আরামবাগে যাবার পর তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। ওই কিশোর বাদানুবাদে জড়িয়ে যায় এক ব্যক্তির সঙ্গে। তখন বিষয়টি নজরে আছে ওই এলাকার এক প্রাক্তন ডব্লিউবিসিএস অফিসারের। তিনি প্রথমে বিনপুর থানায় খবর দেন। উল্লেখ্য, শনিবার ওই কিশোরের পরিবার নিখোঁজ ডায়রি করেন বিনপুর থানায়।
এরপরেই ওই অফিসার তাকে নিকটবর্তী আরামবাগ আরপিএফ এর হাতে তুলে দেন। সেখান থেকে যোগাযোগ করে বিনপুর থানা। পরে বিনপুর থানার পুলিশের তত্ত্বাবধানে ওই কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয় আরামবাগ থানায়। এখানে গিয়ে পরিবার তাকে উদ্ধার করে আনেন। অপর কিশোর নিজেই বাড়িতে ফিরে আসে।
আরও পড়ুন : প্লাস্টিক-স্টিলকে হার মানাচ্ছে ঐতিহ্য! দুর্গাপুজোয় জমজমাট কাঁসার বাজার
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই কিশোরের নাম রামকৃষ্ণ মাহাত(১৫) অপর যুবকের নাম রামজিত হেমব্রম (১৬)। বিনপুর থানার পুলিশ আধিকারিক ও ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ওই দুই কিশোরের পরিবার। ফের পুলিশের তৎপরতায় ওই নিখোঁজ দুই কিশোর ফিরল তাদের পরিবারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রামকৃষ্ণের বাবা শ্যামল মাহাত বলেন, পুলিশ সহযোগিতা না করলে আমাদের ছেলে বাড়িতে ফিরত না। ও যেদিন হারিয়েছিল সেদিনই আমরা নিখোঁজের অভিযোগ দিয়েছিলাম। জেলা পুলিশের কর্মকাণ্ডে ফের একবার মানবিক মুখ ফুটে উঠল ঝাড়গ্রামে।