একটা সময়ে গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ না থাকলেও হ্যাজাকের আলোতে দুর্গাপুজো হত। সে সব এখন অতীত। এই সরকারের আমলে গ্রামে গ্রামে পৌঁছেছে বিদ্যুৎ, গ্রামে গঞ্জে হচ্ছে মা দুর্গার আরাধনা। জঙ্গলমহলের এই গ্রামের মহিলাদের বাইরে যেতে হত পুজো দেখতে। সংসারের সব কাজ সামলে অঞ্জলি দেওয়া, পুজোয় সামিল হওয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ত। সেই থেকেই কয়েকজন মহিলার মাথায় আসে পুজোর চিন্তা ভাবনা। কিন্তু খরচ অনেক, কয়েকজনের টাকায় তা সম্ভব নয়। দরকার অনেককে। গ্রামে ঘুরে বাকি মহিলাদেরও পুজো শুরু করার কথা জানায় তারা। সকলে মিলে ঠিক হয় যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাতেই হবে দুর্গাপুজো!
advertisement
আরও পড়ুন: হাসপাতাল চত্বরে যুবক যুবতীরা যা করল, দেখে অবাক খোদ এলাকার বিধায়ক! তারপর যা করলেন…
সেই অর্থ থেকেই গ্রামের মহিলারা চাঁদা দিয়ে শুরু করেন দুর্গাপুজো। ২০২৩ সালে প্রথমবার নিজেদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা থেকে দুর্গাপুজো শুরু করেন তাঁরা। চলতি বছর সেই পুজো তৃতীয় বছরে পড়ল। পুজোয় মন খারাপের মেঘ দূর করতে গ্রামের মহিলারা সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন। গ্রামে দুর্গাপুজো শুরু করেন তাঁরা। চলতি বছর ঝাড়গ্রামের বিনপুর থানার অন্তর্গত আশাকাঁথি গ্রামের মাতৃশক্তি পুজো কমিটির দুর্গাপুজো তৃতীয় বছরে পদার্পণ করল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শহরের দিকে মেয়েরা দুর্গাপুজোর আয়োজন করলেও গ্রামে মহিলাদের আয়োজিত পুজোর দৃষ্টান্ত খুব কমই পাওয়া যায়। সেই জায়গায় গ্রামের মহিলারা নিজেদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে পুজোর উদ্যোগ নিয়েছেন।