TRENDING:

পাহাড়-জঙ্গল দাপিয়ে সেরার সেরা ঝাড়গ্রাম! সিধু-ভানু গোল্ড কাপের সাফল্য চমকে দেবে

Last Updated:

অনূর্ধ্ব-১৭'র সিধু-ভানু গোল্ড কাপে পাহাড় ও জঙ্গলমহলের ৮ টি জেলার ৪৬ টি ব্লকের মধ্যে সেরার সেরা শিরোপা অর্জন করল জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাড়গ্রাম, তন্ময় নন্দী: সিধু-ভানু গোল্ড কাপে পাহাড় জঙ্গল দাপিয়ে সেরার সেরা শিরোপা অর্জন করল জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এই জেলা। জানেন কি কলকাতা ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এখন এই জেলার ছেলেরা। গত বছর ব্লক স্তরীয় খেলাতেই থেমেছিল যাত্রা। এবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সিধু-ভানু গোল্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে পাহাড় ও জঙ্গলমহলের আটটি জেলার ৪৬ টি ব্লকের অনূর্ধ্ব-১৭’র স্কুল পড়ুয়ারা। টুর্নামেন্টে শিলিগুড়িকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা।
advertisement

যার সিংহ ভাগ খেলোয়াড় মানিকপাড়া বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের। উল্লেখ্য, এবছরই রাজ্য স্তরের অনূর্ধ ১৭ ও অনূর্ধ ১৫ সুব্রত মুখার্জি কাপ প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলে এবং বিজয়ী হয় এই স্কুলের পড়ুয়ারা। প্রথমে পাহাড়ের চার জেলা দার্জিলিং, কালিংম্পং, কার্শিয়াং ও শিলিগুড়ির মধ্যে ব্লক স্তরীয় খেলা হয়। আর জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা থেকে চারটি দল যোগ্যতা অর্জন করে। জঙ্গলমহলের চারটি দলের খেলা হয়েছিল ১  আগস্ট। বাঁকুড়ার বড়জোড়া স্টেডিয়ামে। উদ্বোধন করেছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু।

advertisement

আরও পড়ুন : হঠাৎ বচসা, মুহূর্তেই হাতাহাতি! জমির লড়াইয়ে বিপাকে যুবতী

পাহাড়ি এলাকার চারটি দলের খেলা হয়েছিল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর স্টেডিয়ামে। পাহাড়ি এলাকার শিলিগুড়ি ও জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলা ফাইনালে ওঠে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শৈবাল মহাপাত্র বলেন, “সব দলের সঙ্গে ছেলেরা কষ্ট করে খেলেছে। জয়ী হয়েছে। এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার।” গত তিন আগস্ট ফাইনাল খেলা হয় রঘুনাথপুর স্টেডিয়ামে। টাইব্রেকারে জয়ী হয় ঝাড়গ্রাম জেলা।

advertisement

View More

আরও পড়ুন : গাড়ির আওয়াজে ছুটে আসে সারমেয়রা, টানা বৃষ্টিতেও ৭৮০ অবলা প্রাণীর ত্রাতা বিজয়

ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয় ঝাড়গ্রাম জেলা দলের মানিকপাড়া বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ ছাত্র বিষ্ণু সিং। সর্বোচ্চ গোলদাতা ওই স্কুলেরই রাজেশ মুর্মু। রাজেশ পাঁচটি গোল করেছে। স্কুলের ক্রীড়াশিক্ষক নন্দদুলাল ভৌমিক বলেন, “ছেলেরা ভাল খেলেছে। আমরা খেলা চলাকালীন গোলেই জিতে যেতাম। উন্নত মানের রেফারি ছিল না। আমরা টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে জয়ী হয়েছি। জঙ্গলমহলের মান রেখেছে পড়ুয়ারা।” বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনও খেলার মাঠ নেই, এক কিমি দুরে ক্লাবের মাঠে প্রস্তুতি নিতে হয় ছেলেদের।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

শুধু তাই নয় সব মিলিয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের ঝুলিতে এসেছে অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও স্কুলের ছাত্র অনেক প্রাক্তন ছাত্র এখন খেলোয়াড়। কলকাতা ডিভিজনের নানা লীগ পর্যায়ে খেলে। যা গর্বিত করছে গোটা ঝাড়গ্রাম তথা জঙ্গলমহলকে। সঠিক প্রযুক্তি, পরিকাঠামো ও উন্নত মানের প্রশিক্ষণ পেলে আগামী দিনে কলকাতা ফুটবলের সাপ্লাই লাইন হতে চলেছে এঁরা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পাহাড়-জঙ্গল দাপিয়ে সেরার সেরা ঝাড়গ্রাম! সিধু-ভানু গোল্ড কাপের সাফল্য চমকে দেবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল