একদা মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল ছিল জঙ্গলমহলের এই অরণ্য সুন্দরী। সেই আতঙ্কে আজও বহু পর্যটক অরণ্য সুন্দরী বেড়াতে আসার আগে কয়েকবার পুরানো দিনের কথা চিন্তা করে। পর্যটকদের মাথায় আসে তাদের নিরাপত্তার কথা। কিন্তু সেই সব দিন আজ অতীত। বর্তমান সময়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন এবং পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় যথেষ্ট শান্তি বিরাজ করছে জঙ্গলমহলের অরণ্য সুন্দরীতে।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেলপাহাড়ি, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম থেকে শুরু করে বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত এলাকা কাঁকড়াঝড়, আমলাশোল সহ বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে হোমস্টে। ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী ১০০ টিরও বেশি হোমস্টে তৈরি হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলায়।
পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য জঙ্গলমহলে গড়ে ওঠা প্রতিটি হোমস্টের তথ্য রয়েছে জেলা পুলিশের কাছে। কোন হোমস্টেতে কারা থাকছেন তাদেরও তথ্য সংগ্রহ করে থাকে হোমস্টে গুলি থেকে জেলা পুলিশ। ১২৭ কিলোমিটার ঝাড়খন্ড রাজ্যের সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলার বর্ডার এলাকা রয়েছে এবং ২৭ কিলোমিটার উড়িষ্যা রাজ্যের সঙ্গে বর্ডার এলাকার রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার।এই বর্ডার এলাকাগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানো হয় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। বর্ডার এলাকার মধ্যে থাকা প্রতিটি রাস্তাতেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নাকা চেকিং করা হয়। পর্যটকের মরশুমের সময় নাকা চেকিং এর উপর আরও বেশি করে জোর দেওয়া হয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
মাঝেমধ্যেই ঝাড়গ্রামে মাওবাদী নামাংকিত পোস্টার দেখতে পাওয়া যেত। সেই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, “২০২২ সালে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারে ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করার পর তা প্রমাণিত হয়ে যায় তারা এলাকা থেকে তোলাবাজির উদ্দেশ্যে এই ধরনের পোস্টারিং করত। যারা মাওবাদীদের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয়৷” পুলিশ সুপার আরও বলেন, “যে সমস্ত পর্যটকরা ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসতে চাইছেন তারা নির্ভয় এখানে বেড়াতে আসুন এখানে কোন প্রকার সমস্যা নেই। বেলপাহাড়ি, গোপীবল্লভপুর নয়াগ্রাম থেকে শুরু করে যে কোন টুরিস্ট স্পটে পর্যটকরা গিয়ে সুন্দরভাবে বেড়াতে পারে কোনও সমস্যা নেই। কেবলমাত্র বনদফতরেরযে সমস্ত জায়গায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেগুলি একটু খেয়াল রাখলেই হল৷”
Buddhadeb Bera