বর্তমান সময়ে এই পুজোকে ঘিরে সেই জৌলুস আর নেই বললেই চলে, তবে ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের দেবী পুজোর নির্ঘন্টের পরিবর্তন হয়নি। মহালয়ার কয়েক দিন আগে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে মঙ্গলঘট স্থাপন করে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস শুরু হয়ে যায় পিতৃপক্ষে। পুরনো আমলে রাজার গড় ঝাড়গ্রাম হল এখনকার অরণ্য শহরের পুরনো ঝাড়গ্রাম এলাকা। এখানেই রয়েছে রাজ বংশের কুলদেবী সাবিত্রীর মন্দির।
advertisement
ঝাড়গ্রামের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম সাবিত্রী মন্দিরের পুজো। এই পুজো নিয়ে অনেক লোককথা আছে। সময়ের প্রলেপে ইদানীং দুর্গাপুজোর অধুনিকীকরণ হলেও, ঝাড়গ্রামের সাবিত্রী মন্দিরের পুজো আজও থমকে রয়েছে অতীতে। ঝাড়গ্রামের সাবিত্রী মন্দিরের পুজোয় মাতৃমূর্তি নয়, পটের পুজো হয়ে আসছে। ঝাড়গ্রামে পটের পুজো এই একটিই। এখানে ষষ্ঠী থেকে পুজো শুরু হয় না। মূর্তিপুজো পুরোপুরি নিষিদ্ধ সেখানে। বরং পটের পুজোই হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। সাবিত্রী মন্দিরের পুজো শত্রু নিধনেরও প্রতীকী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজো শুরু হয় ছিতা অষ্টমী থেকে যা দুর্গাপুজোর ১৫ দিন আগে থেকে শুরু হয়। মহালয়ায় চণ্ডীপাঠ, পুজোর বাকি দিনগুলিতে অন্ন ভোগ, দশমীতে পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। রাজ পরিবারের পুজো, তাই পুজো শেষ হয় পাটাবিদা অর্থাৎ প্রতীকী শত্রু নিধনের মাধ্যমে। অস্ত্রপুজোর মধ্য দিয়ে পুজোর সমাপ্তি ঘটে। প্রতিবছর এই পুজোয় দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মায়ের আশীর্বাদ নিতে।