৯জুন, সকাল ১০টায় কলকাতার রবীন্দ্র সদনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হবে। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই সম্মানের পেছনে রয়েছে ২০২৩ সালের ১৭আগস্ট দায়ের হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ শিশু পাচার সংক্রান্ত মামলার দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত।
আরও পড়ুন- অনলাইনে গেম খেলছেন, হয়ে যান সাবধান, বিশেষ সতর্কতা পুরুলিয়া সাইবার থানার
advertisement
অভিযোগ পাওয়ার পর আইসি বিপ্লব কর্মকারের নেতৃত্বে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ দ্রুত তৎপরতা দেখিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং মানব পাচার চক্রে জড়িত চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইন অনুযায়ী মামলা রুজু হয়। বিচারপর্ব শেষে আদালত মাত্র দশ মাসের মধ্যেই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাদের সাজা ঘোষণা করে। মানব পাচারের মতো। সংবেদনশীল একটি ঘটনায় এত দ্রুত ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গোটা রাজ্যে বিরল বলেই মনে করছেন অনেকে।
এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আইসি বিপ্লব কর্মকারকে ‘পুলিশ ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্যও মনোনীত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিত সিনহা বলেন, “এটা ঝাড়গ্রাম পুলিশের কাছে অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। একটি শিশু পাচারের মামলায় এত দ্রুত সময়ে তদন্ত, উদ্ধার এবং সাজা—এটি গোটা রাজ্যের মধ্যে নজিরবিহীন।
দশ মাসের মধ্যে পুরো চক্রকে ধরা হয়েছে, শিশুটিকে সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে—এই কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে আইসি বিপ্লব কর্মকারের নেতৃত্ব ও দায়বদ্ধতার প্রমাণ।”
তন্ময় নন্দী