ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির হানা লেগেই চলেছে আর এর ফলে নষ্ট হচ্ছে চাষের জমি বাড়ি ঘর। ঘুম ছুটেছে এলাকাবাসীর। ঘুম ছুটছে বন দফতরের। কোন কিছুতেই হাতির হানা আটকানো যাচ্ছে না। কখনও কখনও আবার বিট অফিসে তালা লাগিয়েও গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তাতেও হাতির হানা কোন কিছুতেই থামছে না।
advertisement
এবার তাই ঝাড়গ্রাম ব্লকের শিরশি, কইমা গ্রামের বাসিন্দারা হাতি তাড়ানোর জন্য গ্রামের মধ্যে থাকা বড় বড় গাছগুলিকে চিহ্নিত করে গাছের উপর ছোট ছোট বাঁশ কেটে মাচা তৈরি করে তার ওপর খড়ের ছাউনি দিয়ে একপ্রকার ঘর তৈরি করেছে, যার নাম স্থানীয় ভাষায় গাছ ঘর। রাত হলে গ্রামের বাসিন্দারা ওই ঘরের উপরে বসে থেকে হাতির আনাগোনা লক্ষ্য করে এবং হাতি দেখতে পেলেই ওই গাছ ঘর থেকে নেমে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে হাতে হুলা নিয়ে হাতি তাড়াতে বেরিয়ে পড়ে। এভাবেই দিনের পর দিন গাছ ঘরের মধ্যে থেকে হাতি তাড়ানোর কাজ চলে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের মধ্যে নিজেদের জমিতে বা জঙ্গলে ঘোরাফেরা করলে হাতির অভিমুখ ভালভাবে বোঝা যায় না, কিন্তু লম্বা লম্বা গাছগুলিতে গাছ ঘর তৈরি করে সেখান থেকে পাহারা দিলে অতি সহজেই হাতি কোন দিকে যাতায়াত করছে তা বোঝা যায়। তাই হাতি তাড়ানোর এবং হাতির অভিমুখ বোঝার জন্যই ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামবাসীরা সারি সারিভাবে জঙ্গলের মধ্যে বড় গাছগুলিতে এই গাছ ঘর তৈরি করেছে।
বুদ্ধদেব বেরা