সারা বছর সেখানে করলা, বেগুন, ঝিঙ্গে ,কুন্দরি, বরবটি সহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি হয়ে থাকে। অন্যান্য সবজি চাষের পর গাছগুলি জমি থেকে উপড়ে ফেলে নতুন চারা রোপন করা হয়। কিন্তু কুন্দ্রি চাষের ক্ষেত্রে কুন্দরি গাছকে কখনও গোড়া থেকে উপড়ে ফেলা হয় না। জমিতে টোপ তৈরি করে সারি সারি ভাবে লাগানো হয় কুন্দ্রির গাছ এবং মাচার সাহায্যে সেইগুলিকে রাখা হয়। কিন্তু এই শীতের সময় কুন্দরির তেমন একটা ফলন হয় না। ফলন না হলেও কুন্দরি গাছ উপড়েও ফেলা যায় না জমি থেকে। কুন্দরি চাষের জমিতে এই গাছের গোড়াগুলি বাদ দিয়ে জমির বহু জায়গা ফাঁকা থাকে। সেই ফাঁকা জায়গা জায়গাগুলিতে কোদালের সাহায্যে আলু চাষের উপযোগী মাটি তৈরি করে তাতেই আলু চাষ করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনাঝুরি হাটের পর এবার লাল মাটির হাট! কোথায় হচ্ছে এই দারুণ হাট? চমকে যাবেন শুনে
এর ফলে আলু চাষের জন্য বাড়তি জমির প্রয়োজন হচ্ছে না, একই জমিতেই আলু চাষ হচ্ছে এবং আলুর জন্য যে পরিমাণ জমিতে সার দেওয়া হচ্ছে সেই সার কুন্দরি গাছেরও কাজে লাগছে। ফলে অল্প খরচেই ভাল উপার্জনের পথ দেখছে সাতপাটি এলাকার আলু চাষিরা। জানা গিয়েছে, কুন্দরি চাষের জমিতে আলু চাষ করলে এক বিঘা জমির মধ্যে প্রায় ১৬ কাঠা জমিতে আলু লাগানো সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: হাতা-খুন্তি হাতেই আসবে টাকা! জঙ্গলমহলের মহিলাদের জন্য নতুন উদ্যোগ প্রশাসনের
বাকি চার কাঠা জমিতে থেকে যায় কুন্দরি গাছ। স্বাভাবিক আলু চাষের জমিতে যেমন আলুর ফলন হয় প্রায় সমানই আলুর ফলন হয় কুন্দরিচাষের জমিতেও। কাঠা পিছু প্রায় দেড় কুইন্টাল পর্যন্ত আলুর উৎপাদন হয়ে থাকে। সাতপাটি এলাকার আলু চাষিদের এই পদ্ধতিকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলেই। এইভাবে আলু চাষ করলে বাজারে আলুর চাহিদা কিছুটা হলেও মিটবে বলে আশাবাদী সকলেই।
বুদ্ধদেব বেরা