বৃহস্পতিবার সকালে জানা গিয়েছে, বাঘিনী বর্তমানে জামশেদপুর বন বিভাগের চাকুলিয়া রেঞ্জের মালখাম এলাকার জঙ্গলে রয়েছে। গতকাল বাঘিনীটি ঝাড়গ্রাম বর্ডার থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে ভালুকবিঁধার জঙ্গলে ছিল। বাঘিনীকে ধরার জন্য চাকুলিয়া রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকার গভীর জঙ্গলে ১২টি খাঁচা বসানো হয়েছিল। তার মধ্যে টোপ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ছাগল। বাঘিনীকে দেখলেই ঘুম পাড়ানি গুলি করে কাবু করার জন্যও রীতিমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভের বন কর্মীরা। কিন্তু কোনও মতেই বাঘিনীকে বাগে আনতে পারছে না বনকর্মীরা। গতকাল রাতে ভালুকবিঁধার জঙ্গল থেকে বাঘিনী তিন কিলোমিটার দূরে মালখামের জঙ্গলে চলে যায়। ফলে ঝাড়গ্রাম জেলার বর্ডার থেকে বাঘিনীর দূরত্ব কমে দাঁড়ায় মাত্র ৮ কিলোমিটার।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরীর সঙ্গে তুলনীয় নয়, কিন্তু দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেরও বহু মিল পুরীর সঙ্গে! শুনে তাক লেগে যাবে
জানা গিয়েছে, চলতি বছরে মহারাষ্ট্র থেকে জিনাত সহ তিনটি বাঘ নিয়ে আসা হয়। গত ২৯ নভেম্বর জিনাতকে ছাড়া হয়েছিল সিমলিপালের জঙ্গলে। তারপর থেকেই সে রোমিং (রোমিং করা মানে বাঘিনী তার নিজের এলাকা চিহ্নিত করা শুরু করে ) করা শুরু করে। জিনাত রোমিং করতে করতে চাকুলিয়া রেঞ্জের রাজাবাসার জঙ্গলে এসে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ থেকে রায়রণপুর, বিশুই হয়ে ঝাড়খণ্ডের মুসাবনি রেঞ্জ হয়ে চাকুলিয়া রেঞ্জে পৌঁছায়।
সাধারণত, মহারাষ্ট্র এবং সিমলিপালের বাঘেরা মানুষের উপর আক্রমণ করে না। তাই এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও খবর সামনে আসেনি। এই সমস্ত জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে বন্য শুয়োর ও বন খরগোশ থাকার কারণে তাদেরকেই খাদ্য হিসেবে খেয়ে থাকছে এই বাঘিনী। জানা গিয়েছে, সিমলিপালের রিজার্ভ ফরেস্টে বর্তমানে ৩৫টি বাঘ রয়েছে। তার মধ্যে ১৩ টি পুরুষ, ১৪ টি স্ত্রী এবং ৮টি বাচ্চা। সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ থেকে আসা বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি করে বাঘিনীকে ধরে পুনরায় সিমলিপালের টাইগার রিজার্ভে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর কদমে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বুদ্ধদেব বেরা