কেন্দ্রের এই স্বীকৃতি পাওয়াতে খুশি ঝাড়গ্রামের চিকিৎসক মহল। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসার মান ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত সমীক্ষা করা হয়েছিল। যে সমীক্ষায় উত্তীর্ণ নম্বর পাওয়াই কঠিন হয়, সেখানে এই হাসপাতাল ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। আগামীতে শিশু বিভাগের চিকিৎসার মান ও পরিকাঠামো নিয়ে সমীক্ষার জন্য আবেদন করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গলা ক্ষতবিক্ষত! নির্জন রাস্তার ধারে র*ক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার… এমন বীভৎসতা চোখে দেখা দায়
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি অনুরূপ পাখিরা বলেন, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে ঝাড়গ্রাম মহকুমাকে ‘ঝাড়গ্রাম স্বাস্থ্য জেলা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি সেটি জেলা হাসপাতালের মর্যাদা পায়। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ২০১৬ সালে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসা পরিষেবার মান উন্নত করার সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়। আধুনিক মানের চিকিৎসা পরিষেবা পেতে এখন পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও মানুষ এখানে আসছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাজ্যের প্রান্তিক জেলা ঝাড়গ্রামে একসময়ে প্রসূতিদের চিকিৎসা ও পরিষেবার মান ছিল হতাশাজনক। দেড় দশক আগে জেলার প্রসূতিদের ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া ছিল কঠিন। গ্ৰামাঞ্চলে চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নত ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব ছিল। দূর দূরান্ত থেকে প্রসূতিদের সময় মত হাসপাতালে আনা সম্ভব হত না। তাঁদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ত। বর্তমানে গ্ৰামীণ এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নতি হওয়ায় প্রসূতিদের দ্রুত হাসপাতালে আনা সম্ভব হচ্ছে। হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের সমীক্ষায় সেই সাফল্য ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যেই জেলায় চালু হয়েছে এসি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। ১০২ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলে ২৫ মিনিটের মধ্যেই রোগীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এই অ্যাম্বুলেন্স।
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুর তিন বছরের মাথায় কেন্দ্রের থেকে মিলল সাফল্যের সার্টিফিকেট। এই খবর আসতেই খুশি জেলার চিকিৎসকমহল। যেহেতু এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয়ভাবে হয়েছিল ফলে পরিকাঠামো বৃদ্ধির জন্য, মানোন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের অনুদানও পাবে ঝাড়গ্রামের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। যার ফলে বৃদ্ধি পাবে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা। এই স্বীকৃতির ফলে একপ্রকার উপকার হবে জঙ্গলমহল তথা ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের।