গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে জামবনি থানার আই.সি অভিজিৎ বসু মল্লিকের নেতৃত্বে চালানো হয় অভিযান। পুলিশ চিঁচিড়া বাজারে টানা অভিযানে ধরে ফেলে অভিযুক্ত শেখ সাদেকুল হক আনসারিকে। অভিযুক্তের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে লক্ষাধিক টাকার জাল লটারি টিকিট, আধুনিক লটারি ছাপার মেশিন, কাটিং মেশিন, একাধিক কম্পিউটার ও নগদ অর্থ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদেকুল নিজের বাড়িতেই এক প্রকার গোপন ছাপাখানা তৈরি করে বহুদিন ধরে জাল লটারি ছাপাত।
advertisement
আরও পড়ুন : পারিবারিক ব্যবসা থেকেই নতুন বিজনেস আইডিয়া, ডাক শুনেই ছুটে আসে ক্রেতা! দৈনিক আয় হাজার হাজার টাকা
আসল লটারির রেজাল্ট কপি করে প্রতিদিন বাজারে ছাড়ত জাল টিকিট। পুলিশ জানিয়েছে, এই কারবারে বাইরে আরও কয়েকজন যোগ থাকতে পারে। জামবনি থানার পুলিশ দীর্ঘদিন ধরেই জাল লটারি চক্রটিকে চিহ্নিত করতে গোপনে নজরদারি চালাচ্ছিল। সূত্র যাচাই করে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিক পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ এবং লোকাল ইন্টেলিজেন্সের ভিত্তিতে গোটা চক্রকে টার্গেট করে। এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) গুলাম সারোয়ার বলেন, “এটি সরাসরি সংগঠিত আর্থিক প্রতারণা। বৈধ লাইসেন্স, কাগজপত্র কোনওটাই নেই। জাল লটারি ছাপানো, বিক্রি করা উভয়ই গম্ভীর দণ্ডনীয় অপরাধ।
আরও পড়ুন : ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরেই মুশকিল আসান! বালুরঘাটে নতুন রাস্তা আর নিকাশি নালা হচ্ছে একসঙ্গে
তিনি আরও বলেন, আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি এবং এই র্যাকেটের পেছনে থাকা প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনব। তদন্ত আরও বিস্তৃত হচ্ছে।” অভিযুক্তকে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করা হয়। এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতে পেশ করলে বিচারক ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ মনে করছে, এই গ্রেফতারি বৃহৎ জাল লটারি নেটওয়ার্ক ভাঙার প্রথম ধাপ। জামবনি থানার পুলিশের এই সাফল্যে খুশি স্থানীয় মানুষজন।
