জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক শান্তনু পাত্র। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ী ব্লকের কান্দ্রামারি এলাকায়। নবম শ্রেণী থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন তাঁর মাথায় গেঁথে যায়। এরপর শুরু হয় মনে মনে প্রস্তুতি। উচ্চ মাধ্যমিকের পর ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে পান পড়ার সুযোগ। কর্মজীবনে উত্তরবঙ্গে কখনও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আবার কখনও সুপারের দায়িত্ব সামলেছেন। তবে বরাবরই তাঁর ইচ্ছে এবং তাঁর স্বপ্ন অস্ত্রোপচারের। অস্ত্রোপচার করে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া গ্রামের মানুষদের। এরপর তিনি চলে আসেন প্রত্যন্ত এই নয়াগ্রাম ব্লকে। আউটডোরে শতাধিক রোগীদের দেখলেও প্রতিবছর অস্ত্রোপচার করেন প্রায় এক হাজারেরও বেশি। এতেই মানসিক শান্তি পান তিনি।
advertisement
রোগীদের কাছে সাক্ষাৎ ভগবান তিনি। যখন চোখের সামনে সবকিছুই আবছা, দেখতে পাওয়া যায় না কোনও কিছুই। তখন যেন সাক্ষাৎ ভগবানের মতো তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক শান্তনু পাত্র। নিজের শারীরিক অসুস্থতার সত্বেও প্রতিদিন রোগীদের পরিষেবা দেন তিনি। শুধু জেলার নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা এবং পাশের ওড়িশা রাজ্য থেকেও বহু রোগীরা আসেন তার কাছে। তাদের সম্বোধন করেন বাবা-মা বলে। চিকিৎসকের এই পরিষেবায় প্রশংসা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ছুরি-কাঁচিতে বরাবর সাবলীল তিনি। অপারেশন করে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া তাঁর কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। দিনের অধিকাংশ সময় কেটে যায় হাসপাতালে। ছুটিছাটা কম বরং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষদের সঙ্গে থাকতে বেশি পছন্দ করেন তিনি। তবে চিকিৎসকের এহেন ভাবনাচিন্তা এবং দীর্ঘ এত বছর ধরে এত সংখ্যক মানুষের দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেওয়া ও তার পরিষেবাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। অত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা জঙ্গলমহলের এক অনুপ্রেরণার নাম চিকিৎসক শান্তনু পাত্র।





