TRENDING:

Jhargram News: সকাল-সন্ধে চিকিৎসা! ১৪ হাজারের বেশি চক্ষু অপারেশন, জঙ্গলমহলে যেন সাক্ষাৎ ভগবান চিকিৎসক শান্তনু পাত্র

Last Updated:

Jhargram News: ছুরি-কাঁচিতে বরাবর সাবলীল তিনি। অপারেশন করে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া তার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। দিনের অধিকাংশ সময় কেটে যায় হাসপাতালে। ছুটিছাটা কম বরং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষদের সঙ্গে থাকতে বেশি পছন্দ করেন তিনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম, রঞ্জন চন্দ: সকাল থেকে আউটডোর, সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার এমনকি বৃহস্পতিবারও অস্ত্রোপচার। জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চক্ষু চিকিৎসক তিনি। সকাল থেকে বেশ লম্বা লাইন পড়ে রোগীদের। পরিষেবা দিতে গিয়ে কখন যে দুপুর থেকে বিকেল হয়ে যায় তা জানতে পারেন না নিজেও। তবে সমস্ত রোগীদের তিনি বাবা-মায়ের স্নেহে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘ ১১ বছরের চিকিৎসকের জীবন। টানা এই ১১ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি সার্জারি করেছেন প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি। প্রত্যন্ত গ্রামের যৌথ পরিবার থেকে উঠে এসে চিকিৎসক হওয়ার লড়াই, শারীরিক অসুস্থতাকে পিছনে ফেলে প্রতিবছর প্রায় হাজারেরও বেশি অপারেশন ও মানুষকে চক্ষুদান নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
advertisement

জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক শান্তনু পাত্র। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ী ব্লকের কান্দ্রামারি এলাকায়। নবম শ্রেণী থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন তাঁর মাথায় গেঁথে যায়। এরপর শুরু হয় মনে মনে প্রস্তুতি। উচ্চ মাধ্যমিকের পর ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে পান পড়ার সুযোগ। কর্মজীবনে উত্তরবঙ্গে কখনও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আবার কখনও সুপারের দায়িত্ব সামলেছেন। তবে বরাবরই তাঁর ইচ্ছে এবং তাঁর স্বপ্ন অস্ত্রোপচারের। অস্ত্রোপচার করে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া গ্রামের মানুষদের। এরপর তিনি চলে আসেন প্রত্যন্ত এই নয়াগ্রাম ব্লকে। আউটডোরে শতাধিক রোগীদের দেখলেও প্রতিবছর অস্ত্রোপচার করেন প্রায় এক হাজারেরও বেশি। এতেই মানসিক শান্তি পান তিনি।

advertisement

আরও পড়ুন: বসিরহাটে মহিলাদের আয়ের নয়া দিশা দেখাচ্ছে পঞ্চায়েত! কাজ পেয়ে খুশি মহিলারাও, আসল কারনামা লুকিয়ে গাদা গাদা বর্জ্য়ে

রোগীদের কাছে সাক্ষাৎ ভগবান তিনি। যখন চোখের সামনে সবকিছুই আবছা, দেখতে পাওয়া যায় না কোনও কিছুই। তখন যেন সাক্ষাৎ ভগবানের মতো তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক শান্তনু পাত্র। নিজের শারীরিক অসুস্থতার সত্বেও প্রতিদিন রোগীদের পরিষেবা দেন তিনি। শুধু জেলার নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা এবং পাশের ওড়িশা রাজ্য থেকেও বহু রোগীরা আসেন তার কাছে। তাদের সম্বোধন করেন বাবা-মা বলে। চিকিৎসকের এই পরিষেবায় প্রশংসা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কম দামে টাটকা-তাজা সবজি! বর্ধমানের গণ্ডি পেরিয়ে ভিনরাজ্যেও জনপ্রিয় পূর্বস্থলীর এই বাজার
আরও দেখুন

ছুরি-কাঁচিতে বরাবর সাবলীল তিনি। অপারেশন করে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া তাঁর কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। দিনের অধিকাংশ সময় কেটে যায় হাসপাতালে। ছুটিছাটা কম বরং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষদের সঙ্গে থাকতে বেশি পছন্দ করেন তিনি। তবে চিকিৎসকের এহেন ভাবনাচিন্তা এবং দীর্ঘ এত বছর ধরে এত সংখ্যক মানুষের দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেওয়া ও তার পরিষেবাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। অত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা জঙ্গলমহলের এক অনুপ্রেরণার নাম চিকিৎসক শান্তনু পাত্র।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jhargram News: সকাল-সন্ধে চিকিৎসা! ১৪ হাজারের বেশি চক্ষু অপারেশন, জঙ্গলমহলে যেন সাক্ষাৎ ভগবান চিকিৎসক শান্তনু পাত্র
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল