দুপুরবেলায় সূর্যাস্ত তাল, খেজুর গাছে পড়লেই আস্ত তাল, খেজুর গাছের প্রতিচ্ছবি দেখা যায় সবুজ আভাযুক্ত জলরাশির বুকে। জানেন স্থানটি কোথায় রয়েছে? মালাবতী জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এমন জলাধার। যা এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
advertisement
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে সোজা চলে যেতে হবে শিলদার রাস্তা ধরে। শিলদা যাওয়ার কিছুটা আগেই মালাবতী গ্রামের ডানদিকে সোজা চলে যাচ্ছে কালিয়াম জলাধার যাওয়ার রাস্তা। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই জলাধারটি।মনোরম পরিবেশ উপভোগ করার জন্য যে সমস্ত পর্যটকরা এই জায়গা সম্পর্কে অবগত তাঁদের ভিড় মাঝেমধ্যেই লক্ষ্য করা যায় এই জলাধারে।
স্থানীয় মানুষজন পিকনিকের মরশুমে পিকনিক করে থাকে। বিকেল বেলায় পরিযায়ী পাখিদের পাশাপাশি নানা পাখি দেখা যায় এই জলাধারে। জানা গিয়েছে, একটা সময় শাল জঙ্গলের মধ্যে থাকা লাল মোরামের স্তূপ থেকে প্রচুর পরিমাণে মোরাম তোলা হয়। মোরাম উত্তরণের ফলে বৃহৎ একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জল জমা হতে হতে বর্তমান সময়ে এখন একটি পূর্ণাঙ্গ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে পরিত্যক্ত মোরাম খাদানটি।
আজ এই পরিত্যক্ত মোরাম খাদানটি পর্যটকদের কাছে পর্যটনস্থল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটন ক্ষেত্রটিকে সাজিয়ে তোলা হলে, পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। বিনপুর দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান এ সরকারের আমলে বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে বেলপাহাড়িতে, সেই রকম ভাবেই এই পর্যটন ক্ষেত্রটির দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে ।
পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন মানচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম। সবুজ শাল জঙ্গল ও পাহাড়ের টানে প্রায় সারা বছর পর্যটকের ঢল নামে অরণ্য সুন্দরীতে। সুপরিচিত পর্যটন স্থল ঘাঘরা জলপ্রপাত, খাঁদারাণী লেক, গাড়রাসিনি পাহাড়, কাঁকড়াঝোড় ভ্রমণের পাশাপাশি পর্যটকরা এক ফাঁকে ঘুরে আসতেই পারেন কালিয়াম জলাধার থেকে।