TRENDING:

মেদিনীপুরে নেতাজির শেষ জনসভা! এখান থেকেই স্বরাজের ডাক দিয়েছিলেন 'বোস'

Last Updated:

অবিভক্ত মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামের জনসভায় যোগ দিয়ে সুভাষচন্দ্র বসু ঘোষণা করেছিলেন, ‘আপস নয়, সংগ্রাম ও ত্যাগের পথেই স্বরাজ আসবে’।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাড়গ্রাম, তন্ময় নন্দী: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পদধূলিতে ধন্য ঝাড়গ্রাম। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম শহরে শেষ জনসভা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর। সালটা ১৯৪০ সালের ১২ মে। অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামের লালগড়ের মাঠেই করেন জেলার শেষ জনসভা। নাড়াজোলের কুমার দেবেন্দ্রলাল খানের আয়োজনে অবিভক্ত মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে এক জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
advertisement

ওই সভা থেকেই সুভাষচন্দ্র বসু ঘোষণা করেছিলেন, ‘আপস নয়, সংগ্রাম ও ত্যাগের পথেই স্বরাজ আসবে’। এখন যেটা অরণ্যশহরের দুর্গা ময়দান। ৭৮ বছর আগে সেটার নাম ছিল লালগড় মাঠ। জানা যায়, সভার দিন সকালে মেদিনীপুর থেকে গাড়িতে ধেড়ুয়া হয়ে ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। ঝাড়গ্রাম আসার পথে দহিজুড়িতে বিশাল তোরণ বানিয়ে সুভাষচন্দ্রকে অর্ভ্যথনা দেওয়া হয়েছিল। দুর্গা ময়দানের পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে মাটিতে বসেই দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন। বসেছিলেন সাদামাটা একটা কাঠের চেয়ারে।

advertisement

আরও পড়ুন : চিকিৎসায় মন বসেনি, জেল খেটেছেন বহুবার! কারাগারে গঙ্গাজল দিয়ে রান্না করতেন নিজে

সুভাষচন্দ্র বসুর ব্যবহৃত সেই সব জিনিসগুলি আজও সযত্নে রাখা রয়েছে এই বাড়িতে। ঝাড়গ্রামে এসে ব্যবসায়ী নলিনবিহারী মল্লিকের আতিথেয়তা গ্রহণ করে একটি টালির বাড়িতে (এটি এখন উড়ালপুলের কাছে বাছুরডোবা পেট্রোল পাম্পের অফিস ঘর) কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলেন। আরও কিছু কর্মসূচি সেরে ঝাড়গ্রাম কোর্টে বার লাইব্রেরিতে আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন।

advertisement

View More

আরও পড়ুন : বাড়িতে অ্যাকোরিয়াম আছে? এই হাটে ১ টাকায় মিলবে রঙিন মাছ! ঠিকানা জেনে রাখুন

তারপর বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছেছিলেন নেতাজি। তার আগে ঝাড়গ্রামের শান্তিনিকেতন হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন। সভা সেরে ওই রাতেই ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে হাওড়ার ট্রেন ধরেছিলেন তিনি। ঝাড়গ্রাম স্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে খানিকক্ষণ বসেছিলেন। শহরের ঐতিহ্যবাহী সেই দুর্গা ময়দানে স্থায়ী দুর্গামন্দির তৈরি হয়েছে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

১৯৯৭ সালে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে দুর্গা ময়দান রক্ষা কমিটির উদ্যোগে মাঠের একপাশে একটি স্মারকস্তম্ভ তৈরি করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভের ফলকটিতে অবশ্য ভুল তথ্য লেখা রয়েছে। ফলকে লেখা আছে, পরাধীন ভারতবর্ষে সুভাষচন্দ্রের শেষ জনসভাটি দুর্গা ময়দানে হয়েছিল। যদিও সেই তথ্য ঠিক নয়। সঠিত তথ্য হল, অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় সেটি ছিল সুভাষচন্দ্রের শেষ জনসভা। তবে ঐতিহ্যবাহী মাঠে এখন লরি থেকে পণ্যসামগ্রী খালাসের কাজ হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
মেদিনীপুরে নেতাজির শেষ জনসভা! এখান থেকেই স্বরাজের ডাক দিয়েছিলেন 'বোস'
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল