সংসারে সবচেয়ে বড় যোদ্ধা ‘মা’, জন্ম থেকে বড় হয়ে ওঠা পর্যন্ত সন্তানের জীবনে মায়ের বিভিন্ন রূপ, স্নেহ ও ত্যাগকে এবার শিল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রতি বছর অভিনব থিমের জন্য পরিচিত জামবনী সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবার বেছে নিয়েছে এক আবেগঘন ভাবনা- ‘মা কার?’। বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েদের মায়ের প্রতি অনীহাকে মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজো ঘিরে ঘাটাল-দাসপুরে উৎসবের আমেজ! মণ্ডপে-মণ্ডপে উপচে পড়া ভিড়, নিজের চোখেই ঝলক দেখুন
অভিনব এই থিমের মাধ্যমে সমাজকে সচেতন করাই মূল উদ্দেশ্য। দেবীর আরাধনার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে পুজো উপলক্ষে থিমের রমরমা বেড়েছে। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা, সর্বত্র থিমের ছোঁয়া। সেই সঙ্গেই আলোকসজ্জার জৌলুসও বেড়েছে। কলকাতার পুজোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে জেলাতেও থিম পুজোর রমরমা। বর্তমান সময়ে দুর্গাপুজো মণ্ডপ মানেই ভিন্ন ভিন্ন থিম। সাবেকিয়ানা ছেড়ে প্রতিমাতেও নতুনত্ব বাড়ছে। অধিকাংশ পুজো মণ্ডপে প্রতিমা এবং মণ্ডপের মধ্যে সামঞ্জস্য দেখা যাচ্ছে। জেলার আকর্ষণীয় পুজোর দিক থেকে জামবনী ব্লকের অন্যতম পুজো এটি।
উচ্চ-নীচ, সহায়-অসহায়, ধনী-দরিদ্র ব্যবধান ভুলে সকলে মিলে মিশে একাকারের বার্তা দিয়ে এবারের মাতৃ আরাধনা। যেভাবে একজন মা নিজের সন্তানদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ বা স্নেহার তফাৎ রাখেন না। জামবনীর এই পুজো মণ্ডপে এক অনন্য চিত্র দেখা যাবে। পুজো মণ্ডপে বাংলার শিল্প সংস্কৃতির ছাপ। এখানে এলে দর্শকদের চোখে পড়বে মণ্ডপের সামনে বিশাল আকার দেবী মুখ। ছোট-বড় দুর্গা মুখ, নয়ন, কুলো, কাঠের পুতুল সহ বাংলার নানা শিল্প কলায় সেজে উঠেছে মণ্ডপ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্যান্ডেলসজ্জা থেকে প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রে সর্বত্রই রয়েছে পরিবেশবান্ধব উপকরণের ব্যবহার। খড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরি হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাজে মাতৃত্বের মর্যাদা ও পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ইতিমধ্যেই প্যান্ডেলে ভিড় করতে শুরু করেছেন।