কয়েক মাস আগে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা এলাকায় এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। টাটা-খড়গপুর রেলপথ পার হওয়ার সময় ডাউন হাওড়া-বারবিল জন শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনটি হাতির, যার মধ্যে একটি শাবকও ছিল। সেই মর্মান্তিক দৃশ্য এখনও ভুলতে পারেননি বাঁশতলা ও আশপাশের বাসিন্দারা। সেই ঘটনাকেই চিত্রায়িত করে মণ্ডপ সাজিয়েছেন জামবনি ব্লকের মুনিয়াদা গ্রামের শিল্পী হরিশংকর মাহাত।
advertisement
পুজো কমিটির উদ্যোক্তা দিব্যেন্দু মাহাত জানান, এবারের মণ্ডপে রয়েছে জন শতাব্দী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের প্রতিরূপ এবং ৫টি হাতির মডেল। ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ও কৃত্রিম শাল গাছ। প্রতি বছরই আমরা সাম্প্রতিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে বার্তামূলক থিম তৈরি করি, যাতে সমাজে সচেতনতা বাড়ে। ক্লাবের সম্পাদক গণেশ মাহাত জানিয়েছেন, “এই থিমের মাধ্যমে আমরা মানুষকে সচেতন করতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে। মানুষ ও হাতি- দু’জনেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক, এটাই আমাদের বার্তা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রায় সারা বছরই হাতির উপদ্রবে আতঙ্কে কাটান গ্রামবাসীরা। কখনও দলছুট হাতি খাদ্যের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি করে, কখনও আবার ঘটে প্রাণহানি। তাই আমরা চাই, মানুষ যেন সচেতন হয়। প্রতি বছরই আমরা সাম্প্রতিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে বার্তামূলক থিম তৈরি করি, যাতে সমাজে সচেতনতা বাড়ে। পুকুরিয়া ইউনাইটেড ক্লাবের এই উদ্যোগে ঝাড়গ্রামবাসী যেমন গর্বিত, তেমনই প্রত্যাশা, এই বার্তা মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলবে। ভবিষ্যতে মানুষ ও বন্যপ্রাণী উভয়েই নিরাপদে সহাবস্থান করতে পারবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায়, এই থিমের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের সেই বার্তাই দেওয়া হচ্ছে।