সময়ের সঙ্গে সবজি সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ছে, বাড়ছে ডিমেরও দাম। খুচরো বাজারে প্রতি পিস ব্রয়লার মুরগির ডিমের দর ৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। রোডেয়েল মুরগির ডিম প্রতি পিস বিকোচ্ছে ১২ টাকায়। হাঁস ডিমের দর জোড়া ৩০ টাকা। এমন অবস্থায় হাঁস পালনের সংখ্যা বাড়িয়ে ডিমের দাম আয়ত্তে আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২৮ দিন বয়সী উন্নত খাঁকি ক্যাম্বেল প্রজাতির হাঁস ও রোড আইল্যান্ড রেড প্রজাতির মুরগির ছানা জেলার কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যা থেকে ডিম এবং মাংস দুই ভাবে উপভোক্তারা। ২৭০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত ডিম দেবে মুরগি ও হাঁসগুলি।
advertisement
আরও পড়ুন: হয়েছে মাটি পরীক্ষা, হয়েছে অন্য সব কাজ! এবার কবে ব্রিজ পাবে ডুলুং নদী! জানাল প্রশাসন
রাজ্যের একটা বিপুল সংখ্যক ডিমের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে ভিনরাজ্যের যোগানে। উল্টোদিকে আবার জেলায় হাঁস চাষের উপযুক্ত পরিবেশ থাকলেও তা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। তাই বর্তমানে এই বিপুলসংখ্যক চাহিদার কথা মাথায় রেখে উন্নত খাঁকি ক্যাম্বেল প্রজাতির হাঁস ও রোড আইল্যান্ড রেড প্রজাতির মুরগির উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে ঝাড়গ্রামের কৃষি খামারগুলোতে এই মুরগি ও হাঁসের প্রতিপালনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্বনির্ভর দলের মহিলাদেরও দেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূলত পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। গোপীবল্লভপুর দু’নম্বর ব্লকের সমষ্টি প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক ডঃ চন্দন রায় বলেন সরকারিভাবে গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকে মোট ১৯৫৫ ইউনিট মুরগি এবং ২৭০ ইউনিট হাঁসের বাচ্চা বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যেই ১৩০৫ ইউনিট মুরগির ছানা এবং ২৭০ ইউনিট খাঁকি ক্যাম্বেল হাঁস বিতরণ করা হয়েছে। মূল লক্ষ্য ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ। গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা সুব্রত গিরি বলেন, এই ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে আমরা খুশি এই হাঁস এবং মুরগি প্রতিফলন করে আমাদের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ হবে।
তন্ময় নন্দী